রাইজিংসিলেট- সিলেটে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থী ঢাকার হাসপাতালে,গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। আহত ওই শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ওমর ফারুক। তিনি চোখে আঘাত পেয়েছেন।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আহত এক শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বেলা পৌনে তিনটার দিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পক্ষের সঙ্গে সহসভাপতি শরিফ হোসেন ও সাব্বির মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন, মোশাররফ হোসেন ও আকাশ ভূঁইয়ার নেতৃত্বাধীন পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১০ নেতা-কর্মী আহত হন।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. মনিরুল ইসলাম চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলেন, আহত শিক্ষার্থীর আইরিশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ জন্য শুক্রবার রাতে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ন্যাশনাল আই হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে আজ শনিবার তাঁর অস্ত্রোপচার করার কথা। আহত শিক্ষার্থীর বাড়ি ময়মনসিংহে। তাঁর অভিভাবকদেরও ঢাকায় যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে কৃষি, অর্থনীতি ও ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ ছাত্রলীগের কর্মী সভা ডাকেন। অপর পক্ষ কর্মী সভা শুরুর আগে বাধা দেয়। বেলা পৌনে তিনটার দিকে কর্মী সভা শুরু করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা এবং দেশীয় অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের ১০ নেতা-কর্মী আহত হন। সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার একপর্যায়ে সভাপতি আশিকুর রহমানের নিয়ন্ত্রণাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
৪ বার পড়া হয়েছে।