ইউএসএআইডি ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ লিংক এগ্রিকালচার পলিসি একটিভিটি প্রোগ্রামের সহায়তায় সিলেটে দিনব্যাপী জাতীয় হর্টিকালচার নীতি বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট রিজিওন কতৃক বৃহস্পতিবার নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে জাতীয় হর্টিকালচার নীতিমালার পর্যালোচনা থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদির ইস্যুভিত্তিক আলোচনা ও নীতিমালার পরিবর্তন/পরিবর্ধন/পরিমার্জন বিষয়ে ঐক্যমতে পৌছানোর উদ্দেশ্য আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ঢাকার হর্টিকালচার উইং, এর অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষিবিদ কে জে এম আব্দুল আউয়াল।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন-হর্টিকালচার সেন্টার উদ্যান ফসলের সম্প্রসারণে কাজ করে। জনসাধারণকে বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করতে হর্টিকালচার সেন্টার সুলভ মূল্যে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা সরবরাহ করে। এর মাধ্যমে দেশে উদ্যান ফসলের পরিমাণ বাড়ছে। যা খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি চাষিদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আগামীর সমৃদ্ধ কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের স্বার্থে হর্টিকালচারের প্রতি সকলকে নজর রাখতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিলেট কৃষি বিদ্যালয়ের ক্রপবোটানি ও টি প্রোডাকশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডঃ এ, এফ এম সাইফুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম,ফীড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ পলিসি লিংক এগ্রিকালচারাল পলিসি এ্যাক্টিভিটির গর্ভমেন্ট লিয়াজো এ্যাডভাইজার,ডঃ পিয়ার মোহাম্মদ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ মোঃ আজিজুর রহমান, পলিসি লিংকের সিনিয়র ম্যানেজার খালেদা আক্তার, ম্যানেজার মামুনুল ইসলাম।গোলাপগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মাশরফেুল আলমের পরিচালনায় কর্মশালায় জাতীয় হর্টিকালচার নীতি সমৃদ্ধিকরণের কী-নোট উপস্থাপনা করেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসালটেন্ট এন্ড প্রফেসর অধ্যাপক ডঃ মোঃ আজিজুর রহমান। পরে উপস্থাপনার উপর ৪ টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দলগত পর্যালোচনা ভিত্তিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
দিনব্যাপী কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন দপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ব্যাংক, বিটাক, মৎস ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, কৃষি পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত, ও বিপনণ প্রতিষ্ঠান, এনজিও প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।