ঢাকাশনিবার , ১ এপ্রিল ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সিলেটে নব নির্মিত কদমতলী বাস টার্মিনালের ত্রুটি তদন্তে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন

rising sylhet
rising sylhet
এপ্রিল ১, ২০২৩ ৭:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিলেটে নব নির্মিত কদমতলী বাস টার্মিনালের ত্রুটি তদন্তে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে এ কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে নগর ভবনের সভাকক্ষে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, সিলেটের ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে নির্মিত এ স্থাপনা, দেশের ‘সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক বাস টার্মিনালের একটি অংশে ত্রুটি ধরা পড়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে তা পরিদর্শন করেছি। এ নিয়ে জনমনে কোন বিভ্রান্তি যেন না ছড়ায় তার জন্য শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, এলজিইডি সিলেটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, গণপূর্ত অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সিসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সমন্বয়ে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, এই তদন্ত কমিটি আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরপরই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সিসিক মেয়র আরো বলেন, এখনও সিসিকের কাছে এই প্রকল্পটি নির্মাণ সংস্থা হস্তান্তর করেনি। উদ্বোধনের জন্য অপেক্ষমান বাস টার্মিনালটিতে সুযোগ সুবিধা সমূহ ঠিক আছে কি না তা পর্যবেক্ষনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে সেবা প্রদান শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে স্থাপনাটির একটি অংশে কিছু ত্রুটি দেখা দেয়। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের তত্বাবধানে এ প্রজেক্টটির কাজ চলছে। টেকনিক্যাল টিম যেদিন রিপোর্ট জমা দিবে সেদিন গণমাধ্যমকর্মীদের সামনেই তা পেশ করা হবে।

মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিলেটের উন্নয়নে ১২২৮ কোটি টাকা বিল পাশ করেন। এরমধ্যে ৮০ শতাংশ সরকার এবং বাকী ২০ শতাংশ সিলেট সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে। সিলেটের জনগনের স্বার্থে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের অধীনে আরো ৯ টি প্রকল্পের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

সিলেটের খাবার পানির সংকট নিয়ে তিনি বলেন, সিলেটে যে পানি উত্তোলন হয় তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সরকার যদি আরো একটি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি করে দেয় তাহলে পানির চাহিদা মেটানো সম্ভব।

রাস্তা খোড়াখুড়ির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সিলেটের পানির লাইনগুলো ৩০-৪০ বছরের পুরনো। তাই বিভিন্ন জায়গায় ছিদ্র হয়ে পানি বের হয়ে রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। তাই ছিদ্রগুলো সংস্কার না করে নতুন পিভিসি পাইপ দিয়ে পানির লাইন টানা হচ্ছে। তিনি আগামী ১ মাসের মধ্যে রাস্তা খোড়াখুড়ির কাজ শেষ হবে বলে জানান।

৯৭ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।