ঢাকাবুধবার , ১৫ মে ২০২৪
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সিলেটে বিজিবির নিলামের চিনির গাড়ি আটক: দশ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবী

rising sylhet
rising sylhet
মে ১৫, ২০২৪ ৫:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিলেটে বিজিবির নিলামের চিনির গাড়ি আটকে দিয়ে দশ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবীর ঘটনায় তোলপাড় চলছে সিলেটে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ মে দিবাগত রাত ১০টায়। ঘুষদাবীর ঘটনার খল নায়ক সিলেট এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানাধিন টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির নবাগত আইসি এসআই দিবাংশু পাল। তিনি অবশ্য রাজনৈতীক তদবীরে পোষ্টিং হয়ে আসায় উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশের তোয়াক্ষা করেন না। কারণ তার মাথার উপর রয়েছে রাজনৈতিক দুষ্ট চক্রের আর্শিবাদ।
এদিকে নিলামকৃত চিনির মালিক বদরুল ইসলাম ন্যায় বিচার পাবার আশায় ১৪/৫/২০২৪ ইং তারিখে সিলেট এসএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবরে টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই দিবাংশু পাল (বিপি নং ৮৬১৩১৫৪৬৩), দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি তদন্ত আবুল হোসেন, ফাড়িতে কর্মরত টিএসআই কাজী আব্দুস শহিদসহ কয়েকজন কনেষ্টবলের বিরুদ্ধে দিয়েছেন লিখিত অভিযোগ। অভিযোগের অনুলিপী দিয়েছেন এসএমপির দক্ষিন জোনের ডিসি সোহেল রেজা ও চিনির নিলামকারী বিজিবি-৫২ ক্যাম্প কামান্ডার বরাবরে।
অকশনে বৈধ ভাবে নিলামে খরিদকৃত চিনি আটক করে মিথ্যা মামলা দায়েরসহ হয়রানীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ন্যায় বিচার পাবার আশায় লিখিত আবেদন করে পড়েছেন বেকায়দায়। বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য।

জানা যায়, সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই বালিঙ্গা গ্রামের মো: সামছুল ইসলামের ছেলে বদরুল ইসলাম আমি দীর্ঘ ২ বছর থেকে ভারত থেকে শুল্ক ফাঁকি নিয়ে আসা মালামাল, চিনি, কসমেটিক্স,সহ নানারকম পন্য যখন পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, জেলা বা এসএমপি ডিবিসহ আইনশৃংখলা বাহিনী আটক করে তা আদালতের মাধ্যেমে নিলাম দিলে তিনি নিলামে অংশগ্রহণ করে খরিদকৃত মালামাল সিলেটসহ সারাদেশে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে থাকেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ৬/৫/২০২৪ ইং তারিখে বিয়ানীবাজার বিজিবির ব্যাটারিয়ান-৫২ নয়াগ্রাম ক্যাম্প কতৃক ৫০ কেজী ওজনের ৬১৫ বস্তা চিনি (অনুমান ৩০,৭৫০ কেজী) চিনি আটকের পর শেওলা শুল্ক কাষ্টমস কমিশনার কর্তৃক গত ৭/৫/২০২৪ ইং তারিখে বিজিবির সদস্যদের উপস্তিতে তা নিলাম হয়। সেই চিনি বদরুল ইসলাম খরিদ করেন।। গত ১০/৫/২০২৪ ইং তারিখে নয়াগ্রাম বিজিবি (বিওপি) ক্যাম্প কামান্ডার হানিফ (মোবাইল নং-০১৭৬৯-৬১৩৫৬৩) নিলামের মাল বদরুলকে সমজিয়ে দেন। গত ১১ তারিখ রাত অনুমান ১০টার দিকে নিলামে খরিদকৃত চিনি বিক্রির জন্য একটি ট্রাক যোগে (যাহার নং ঢাকা-মেট্টো-ট-২৪-৪২২৮) সিলেট শহরে নিয়ে আসার পথে এসএমপির দক্ষিণ সুরমার মোমিনখলা এলাকায় গাড়িটি আটক করেন টার্মিনাল ফাঁড়ির টিএসআই কাজী আব্দুশ শহিদ। এসময় আমার গাড়ির ড্রাইভার গাড়িতে থাকা নিলামের সমূহ কাগজপত্র দেখালে তিনি দ্রæত নিলামের মেইন কাগজপত্র নিয়ে মালের মালিক বদরুলকে আসতে বলেন ঘটনাস্থলে। বদরুল নিলামের সমূহ কাগজপত্র নিয়ে সেখানে হাজির হলে কাজী আাব্দুস শহিদ বদরুলের কাছে নগদ ২ লক্ষ টাকা ঘুষদাবী করেন, এসময় তার সঙ্গে থাকা কনেষ্টবল মনিরুজ্জামান (১৪৪১), কনেষ্টবল শাকিল (২০৪০),কনেষ্টবল বিলাল (২২২৮) উপস্তিত ছিলেন। সবকিছু বৈধ থাকায় বদরুল তাকে ঘুষের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে এতে শহিদ ক্ষিপ্ত হয়ে ডেকে আনেন সিরা-৪৪-এ ডিউটি থাকা এএসআই প্রনেশ রঞ্জন দাস, কনেষ্টবল পঙ্কজ অলমিক (১৫৫৪), কনেষ্টবল আব্দুল কুদ্দুস (১৯৯৭) কে। তারাও এসে কাজি আব্দুস শহিদ কথায় সুর মিলান। ২লাখ টাকা দিলে ট্রাকটি ছেড়ে দিবেন বলে বদরুলকে জানান। পরে কাজী আব্দুস শহিদ টাকা না পেয়ে র্ট্রামিনাল ফাঁড়ির আইসি এসআই দিবাংশু পালকে কল দিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসেন। তিনি সেখানে এসেই ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবী করে বসেন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, নতুবা কাগজপত্র যাই থাকুক না কেনো, গাড়ি থানায় নিয়ে মামলা দিয়ে চালান দিবেন। এ ছাড়া তিনি হুমকি দেন, আমি চাকরির ভয় করিনা। আমার বাবার টাকা আছে, পোষাক খুলে চাকরি ছেড়ে চলে যাবো। কারো কাছে অভিযোগ করে লাভ হবেনা। আমি উপরের স্যারদের ধার-ধারিনা। তখন বদরুল সহ তার সঙ্গে থাকা লোকজন দিবাংশু পালকে বারবার অনুরোধ করে মালের নিলামের সকল কাগজপত্র যাচাই করতে বলেন। এছাড়া বিজিবির সাথে কথা বলে সঠিক হলে মালগুলোসহ ট্রাকটি ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি কারো কোন কথা না শুনে ট্রাকটি ঘটনাস্থল থেকে থানায় নিয়ে যান। তখন বিষয়টি থানার ওসি মহোদয়কে জানালে তিনি ছুটিতে থাকার পরও বিয়ানীবাজার বিজিবির কামান্ডারের সাথে কথা বলে মালের বৈধতা নিশ্চিত হয়ে মামলগুলো ছেড়ে দিতে এসআই দিবাংশুকে নির্দেশ দিলেও তিনি তা আমলে নেননি। সেখানে দায়িত্বরত ওসি তদন্ত আবুল হোসেনকে সমুহ ঘটনা জানালে নিলামের সকল কাগজপত্র দেখেন এবং বিজিবির সাথে কথা বলে বৈধ মাল হিসাবে নিশ্চিত হন। কিন্তু তিনিও সেখানে প্রায় রাত ২টা পর্যন্ত দিবাংশুর মাধ্যমে আমার কাছে দাবীকৃত ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবী করেন। এরপর খবর পেয়ে সেখানে থানার এসি, ও এডিসি দক্ষিণ সেখানে হাজির হয়ে আমার সমূহ কাগজপত্র যাচাইসহ বিজিবির সাথে কথা বলেন।

নিলামকৃত বিজিবির ক্যাম্প কামান্ডারের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে নিলামের বিষয়টি নিশ্চিত হন। কিন্তু রাতভর নানা নাটকীয়তার পর আমার মালামালা থানায় আটক রেখে বদরুলকে বলেন সকালে গিয়ে বিজিবির কাছ থেকে একটি প্রত্যায়ন পত্র নিয়ে আসলে তারা মালসহ গাড়িটি এবং গাড়ির ড্রাইভারদের ছেড়ে দিবেন। এসময় কয়েকজন সাংবাদিকও সেখানে হাজির হয়ে সমূহ ঘটনা অবহিত হয়ে বিজিবি কমান্ডারের সাথে কথা বলে মালগুলো বৈধ বলে নিশ্চিত হন। ১২/৫/২০২৪ ইং নয়াগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে নিলাম ও চিনির ছাড়পত্রের একটি প্রত্যায়নপত্র নিয়ে থানায় গেলে এসআই দিবাংশু পাল বলেন, তিনি মামলা দিয়ে দিয়েছেন এখন প্রত্যায়নপত্র দিয়ে কোন কাজ হবেনা। চিনিসহ গাড়ি এবং ড্রাইভারদের আমি যেনো আদালত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি দিবাংশু পাল তার চাহিদামতো চাঁদার টাকা না পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা নং-৯ তারিখ ১২/৫/২০২৪ ধারা ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫বি(১)(বি)/২৫ ডি একটি রুজু করেন। এসব ঘটনার সুষ্ট তদন্তের জন্য বদরুল লিখিত ভাবে গতকাল বিষয়টি পুলিশ কমিশনারকে অবহিত করেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।