সিলেটে বিতর্কিত সাংবাদিক, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, আওয়ামী লীগ নেতা আল আজাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা নং- (নং ২৫(১০)২০২৪)। এ মামলায় পলাতক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৫০ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০/২০০জনকে আসামি করা হয়।
মঙ্গলবার (২২অক্টোবর) মধ্যরাতে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন নগরের ঘাসিটুলার জনৈক বোরহান উদ্দিন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক। তিনি বলেন, ১৯০৮ সনের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩/৪ তৎসহ ১৪৮/১৪৯/৩২৬/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১০৯/১১৪ ধারায় মামলাটি রুজু হয়েছে। মামলার পর থেকে আল আজাদ পলাতক রয়েছেন।
সুত্র থেকে জানা যায়, সাংবাদিক আল আজাদের বিরুদ্ধে এর আগে গত ২৭ আগস্ট সিলেট আদালতে বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করছে সিলেটের পিবিআই।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ৪আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে নগরীর বন্দরবাজার কুদরত উল্লাহ মসজিদের সামনে এবং হাসান মার্কেটের সম্মুখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিছিল বের করে। এ মিছিলে তার ভাই মিজানও (১৮) অংশ নেন।
এ সময় ১নং আসামি মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে বন্দুক, কাটা রাইফেল, ককটেল, রামদা, লাঠি ও লোহার রডসহ অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আসামিরা মিছিলে হামলা চালায়। আসামির ছোড়া গুলি তার ভাই মিজানের চোখে লাগে।তখন আসামিরা তাকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে মারধর করে।
পরে এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি ছোড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসামিরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর জখম অবস্থায় মিজানকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। গুলিতে তার ভাই মিজানের ডান চোখ অন্ধ হয়ে গেছে।
উল্ল্যেখ্য গত ৪ আগস্ট আন্দোলনরত ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনায় এ মামলা হয়। হামলার আগে আল আজাদ সভার মাধ্যমে ছাত্র জনতাকে উচিত শিক্ষা দেয়ার হুমকি প্রধান করেন। এরপর ছাত্র জনতার উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান।