রাইজিংসিলেট- নগরের শেখঘাট এলাকা থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে স্বামীর বাড়ি থেকে পপি বেগম (২২) নামে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দুই মাস আগে বিয়ে হয়েছিলো পপির। ,পরিবারের অভিযোগ স্বামীর নির্যাতনের মৃত্যু হয়েছে পপির। এ ঘটনায় স্বামী ও ভাসুরকে আটক করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। মারা যাওয়া পপি বেগম শাহপরাণ থানাধীন মেজরটিলা শ্যামলী আবাসিক এলাকায় অলফু মিয়ার মেয়ে। তিনি তার স্বামী মিঠন মিয়ার সাথে শেখঘাট এলাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে বসতঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পপিকে দেখতে পেয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান মিঠন, ভাসুর সুহেল মিয়া এবং পপির বোন জামাই। পরে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন পপির বাবা ও আত্মীয় স্বজন। পপির পরিবারে পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে তার।
এ ঘটনার পরে পপির স্বামী মিঠন মিয়া ও ভাসুর সুহেল মিয়াকে আটক করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। তবে ঘটনার পরে থেকেই পপির বোন জামাই নিখোঁজ রয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, মৌলভীবাজারের জগন্নাথপুর এলাকার মৃত সেলিম মিয়া ছেলে মিঠন মিয়া ও সুহেল মিয়া।
পপির বাবা অলফু মিয়ার অভিযোগ, আমার মেয়েকে নির্যাতন করা হত। সোমবার আমাদের বাসায় ছিল সে। বিকালে তার স্বামীর বাসায় যায় এবং রাতে আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার নতুন (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে পপির স্বামী ও ভাসুরকে আটক করা করেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
৪৮ বার পড়া হয়েছে।