সিলেট জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের হামলায় আহত সাংবাদিক।
সিলেট জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউর রহমান রেজা ফটো সাংবাদিক মামুন হোসেনের উপর হামলা করেছে।
তিনি হামলার পাশাপাশি সাংবাদিক মামুন হোসেন ও তার পরিবারকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করার হুমকি প্রদান করেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫টায় নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকায় দলবল নিয়ে রেজা সাংবাদিক মামুন হোসেনের উপর হামলা চালায়।
সাংবাদিক মামুন হোসেনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রমজানের ইফতারের ছবি তোলার জন্য সাংবাদিক মামুন হোসেন বিকাল চারটায় বাসা থেকে বের হন। এরপর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকার ইফতারের ছবি তুলে মদিনা মার্কেট এলাকায় এসে ছবি তুলেন। যেহেতু তার বাসা মদিনা মার্কেট এলাকায় তাই তিনি পেশাগত দায়িত্বপালনের পর বাসায় যাওয়ার আগে ইফতারি কিনতে যান একটি দোকানে। সেখানে সিলেট জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউর রহমান রেজা এসে তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। তখন মামুন হোসেন বলেন, আপনি এমন করছেন কেন সবাইতো এখানে ইফতার কিনতে আসছে। এই কথা মামুন কেন বললেন এই বলে রেজা সাংবাদিক মামুনের উপর হামলা চালান। এরপর রেজার সাথে থাকা অন্যান্য সঙ্গীরাও মামুন হোসেনের উপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসেন। বর্তমানে তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
স্থানয়ীসূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার প্রথম রমজানের ইফতারের জন্য জিলাপি কিনতে মদিনা মার্কেট এলাকার একটি দোকানে যান সাংবাদিক মামুন হোসেন। সেই দোকানে অনেক মানুষের ভিড় ছিল। সিলেট জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউর রহমান রেজা তার সঙ্গীদের এসে অতর্কিত হামলা চালায় সাংবাদিক মামুন হোসেনের উপর। এসময় অন্যান্য মানুষজন সাংবাদিক মামুন হোসেনকে রক্ষার চেষ্টা করলে রেজা আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এবং সঙ্গীদের নিয়ে মামুন হোসেনকে শারীরিক আঘাত করে। পরে স্থানীয় তাকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক মামুন হোসেনের স্ত্রী সাংবাদিক শাকিলা ববি বলেন, এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা মনে হচ্ছে না। কারণ এখানে অন্য মানুষজনও ছিলেন তাদের রেখে কেন সাংবাদিক মামুন হোসেনের উপর হামলা করবে। সাংবাদিক শোনার পর হামলাকারী আরও ক্ষিপ্ত হয়। এই হামলা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। কারণ আমরা বিভিন্নসময় চোরাকারবারি, চাঁদাবাজ রাজনৈতিক নেতাসহ তাদের নানা অপকর্ম নিয়ে নিউজ করি। এটাও পূর্বের কোনো নিউজের রেশের কারণে ঘটতে পারে। রেজা হুমকি দিয়েছে আমাদের এই এলাকায় থাকতে দেবে না। বাসায় এসে হামলা করবে। এখন আমি আমার ছোট মেয়ে নিয়ে বাসায় থাকি। তাই কিছুটা ভয়ে আছি।