শনিবার মধ্যরাতে সিলেট শহরতলীর ৪ নং খাদিমপাড়া ইউনিয়নের বাইপাস সুরমা গেইট এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে।
গুলির শব্দে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়৷ খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্হলে পৌছে পরস্হিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, শনিবার মধ্যরাতে কল্লগ্রামের হাসানের উপর কে বা কারা হামলা চালায়। এতে হাসান আহত হন, হামলার খবর পেয়ে হসানের সহযোগী দাসপাড়ার এমদাদ ও তার ভাই তপু এসে কয়েকজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
এতে কেউ হতাহত হননি তবে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় রাস্তায় চলাচলকারিরা দিকবেদিক ছুটতে থাকেন। একটি সুত্র জানায় বুঙ্গার চিনি নিয়েই এই সংঘর্ষের মুল কারন।
কয়েকজন জানান, সুরমা গেইট, কল্লগ্রাম, ধলইপাড়া এলাকাবাসীর অভিযোগ, সিলেট নগরী, দাসপাড়া, পিরেরবাজার, বটেশ্বর এলাকার কিছু সন্ত্রাসী প্রতিদিন রাতে বাইপাস এলাকায় আড্ডা জমায় এবং তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।
এদিকে গুলাগুলির খবর পেয়ে লোকজন জড়ো হতে থাকেন, এলাকাবাসী এসব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে ৪ নং খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম আজাদ ঘটনাস্হলে আসেন পরে ঘটনা স্হলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ আসলে পরিস্হিতি শান্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা যায়, বাইপাস, সুরমা গেইট এলাকায় গত ৫ আগষ্টের পর থেকে অপরাধ বেড়ে গেছে। এখানে প্রতিদিন ভারত থেকে আসা অবৈধ চিনি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আজকেও সেরখম ঘটনা ঘটেছে।
এসব ছিনতাইকারিরা প্রতিদিন বিভিন্ন গাড়ি আটকিয়ে চাদাবাজি করে। গত কয়েকদিন আগেও এরা টমেটো ও ফার্মের মোরগের গাড়ি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এসময় তারা এক কিশোরকে বেদড়ক পেটায়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত ৫ আগষ্টের আগে এই পয়েন্ট ছিল ছাত্রলীগ, যুবলীগ ক্যাডারদের দখলে। বর্তমানে এমদাদ ও তার ভাই তপু এবং হাসান অত্র এলাকায় রাজত্ব করছে। তবে এরা কোন দলের বা কারা নেতৃত্ব দিচ্ছে এ ব্যাপারে কোন কিছু বলেননি এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী বলেন, এসব ছিনতাইকারি ও সন্ত্রাসী দ্বারা তাদের এলাকার বদনাম হচ্ছে। এ ব্যাপারে সুরমা গেইট, বাইপাস, দলইপাড়া ও কল্লগ্রামবাসী আগামীকাল এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্হা নিতে সড়ক অবরোধ করবেন বলে জানান। পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান, এসব এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর।