
সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন সুজাত আলী, দক্ষিণ সুরমায় মো. বদরুল ।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুজাত আলী রফিক কাপ-পিরিচ প্রতীক সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ের পথে রয়েছেন। ৬২ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৬১ টিতে তিনি পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৭৫ ভোট। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন আনারস প্রতীকের আওয়ামী লীগ নেতা মো. সামসুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৩০।
বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ উপজেলায় সংঘর্ষ, কিছু জায়গায় অনিয়ম, জাল ভোট দেওয়া ও চা শ্রমিকদের ভোট বর্জনের দিয়ে ভোগ্রহণ শেষ হয়।
এই উপজেলায় প্রার্থী ছিলেন ছয়জন। তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে শ্রমিক লীগ সিলেট জেলা সভাপতি মো. এজাজুল হক (মোটরসাইকেল) স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আহাদ মিয়া (দোয়াত-কলম), আওয়ামী লীগ নেতা মো. সুজাত আলী রফিক (কাপ-পিরিচ), আওয়ামী লীগ নেতা মো. সামসুল ইসলাম (আনারস), আওয়ামী লীগ নেতা মিল্লাত আহমদ চৌধুরী (ঘোড়া) ও স্বতন্ত্র ডা. মো. খলিলুর রহমান (টেলিফোন)।
সিলেট সদর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৮১ হাজার ৯২১। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৪ হাজার ৪২০ ও নারী ভোটার ৮৭ হাজার ৫০০ জন রয়েছেন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১ জন। সাত ইউনিয়নে মোট ৬২ টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে।
দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল ইসলাম টেলিফোন প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আহমদ (মোটরসাইকেল)।
তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুয়েল আহমদ (ঘোড়া)।
জানা গেছে, বদরুল ২১ হাজার ৭৬৮, শামীম ১৩ হাজার ৯৮৮ ও জুয়েল ১২ হাজার ৩০৭টি ভোট পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন ৫ জন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আহমদ (মোটরসাইকেল), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল ইসলাম (টেলিফোন), উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মইনুল ইসলাম (আনারস), যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুয়েল আহমদ (ঘোড়া) ও আঞ্চালিক নাটকের অভিনেতা মো. সাহেদ মোশারফ (কাপ পিরিচ)।