‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানে সিলেট নগরীর সাবেক ছাত্রদল কর্মী কাওছার খাঁনকে আটক করে কারাগারে দেয়ায় নিন্দা জানিয়েছেন সহযোদ্ধা ও তার পরিবার।
গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে নগরীর চারাদিঘীর পারের বাড়ি থেকে কাওছার খাঁনকে আটক করে পুলিশ।
তিনি বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন।
পুলিশের কাণ্ডজ্ঞানহীনতার কারণে কিভাবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নির্যাতিতরা আটক হয়? এমন প্রশ্ন তোলে সহযোদ্ধা ও তার পরিবার নিন্দা জানান।
জানা যায়, নগরীর ১৬নং ওয়ার্ডের মৃত ডাঃ আনান খাঁনের ছেলে কাওছার খাঁন ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে ছাত্রদলের কর্মী হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সে সময় বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান জামানকেও রাজনীতিক মামলায় গ্রেফতার করা হয়। জামানের সাথে তিনি দীর্ঘ ২০ দিন কারাবাস থেকে জামিনে মুক্ত হন।
সিলেট মহানগরীর ১৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের পঞ্চম সহ-সভাপতি পলাতক কাউছার খানের নামের সাথে সাবেক ওই ছাত্রদল কর্মীর নামের মিল থাকায় পুলিশ বুধবার রাতে তাকে আটক করে। পরদিন বৃহস্পতিবার বিলম্ব করে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত কাওছার খাঁনকে কারাগার পাঠিয়ে দেন।
কাওছার খাঁন গ্রেফতার হাওয়ার বিষয়টি শুনে আক্ষেপ প্রকাশ করেন অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান জামানও।
এ বিষয়ে কথা হলে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি জিয়াউল হক অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা, সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিকের সাথে কথা বলতে পরামর্শ দেন। সিদ্দিকের মোবাইল ফোনে একাধিক কল দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তার সাথে দেখা করতে কাওছার খাঁনের ভাইকে আহবান জানান।