সিলেট সিটি কর্পোরেশন তফসিল ঘোষণা করা হবে ঈদুল ফিতরের আগে রমজানে।
সিলেটসহ দেশের পাচঁ সিটি করপোরেশনের ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। নির্বাচনের তফসিল চলতি বছরের ২৩ মে থেকে ২৩ জুন তারিখের মধ্যে তিনধাপে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে সিটি করপোরেশনের এসব নির্বাচন। ভোটের সম্ভাব্য সূচি মে থেকে জুনের মধ্যে।
বুধবার (১৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশনের ১৬তম সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর। কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়।
ইসি সচিব বলেন, সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা থাকতে পারে।
অন্যদিকে খুলনা ও রাজশাহী সিটির ক্ষণগননা শুরু হবে ১৩ এপ্রিল। ১০ অক্টোবরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বরিশাল সিটি ভোটের ক্ষণগননা শুরু হবে ১৪ মে থেকে ১৩ নভেম্বর। সিলেট সিটি ৬ মে থেকে পরবর্তী নির্বাচনের ক্ষণগননা শুরু হবে। ৬ নভেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ময়মনসিংহ সিটি ভোটের ক্ষণগননা শুরু হবে ২০ ডিসেম্বর। ২০২৪ সালের ১৯ জুনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
পাঁচ সিটি নির্বাচন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই শুরু করতে হবে জানিয়ে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, ‘গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, খুলনা এগুলো নির্বাচনের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। এপ্রিলে রমজান। পরে ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত এসসসি পরীক্ষা চলবে। ২৯ জুলাই ঈদুল-আজহা। ঈদুল আজহার আগে এসএসসি পরীক্ষার শেষে ৫টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন আয়োজন করবো সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তীতে তফসিল ঘোষণা করবো তখন কোনটা কোন তারিখে বলা যাবে।’
এপ্রিলে মাঝামাঝি তফসিল ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২৩ মের পরবর্তী সময় থেকে ২৩ জুনের পূর্ববর্তী সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে তিন ধাপে পাঁচ সিটির ভোট করব।’
একটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন কাস্টমাইজ করতে ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঝে ১০ থেকে ১২ দিন গ্যাপ থাকবে।
পাঁচ সিটিতে ইভিএম ব্যবহার হবে জানিয়ে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা রাখারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তা পরবর্তীতে চূড়ান্ত হবে।’