কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম জাহানুর আলম (২৪)। তিনি ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার গিদালদহ এলাকার মরাকুটি এলাকার ভোরাম পয়োস্তি গ্রামের কবিদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে একদল চোরাকারবারী ওই সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের চেষ্টা করলে ভারতীয় ভারবান্দা ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে রাবারের গুলি ছোড়ে। এ সময় জাহানুর গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে থাকা খালের পানিতে পড়ে নিহত হয়। গোলাগুলির শব্দে গোটা সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার গোরকমন্ডল সীমান্তের ৯২৯ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের ৩ নম্বর সাব পিলারের পাশে শূন্য লাইন থেকে প্রায় ২০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধীনে গোরকমন্ডল বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্তে টহল জোরদার করে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানান।
পরে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ওই সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে গোরকমন্ডল ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার ফিরোজ এবং বিএসএফের পক্ষে ৩ বিএসএফ ব্যাটলিয়নের অধীন ভারবান্দা গিদালদহ ক্যাম্পের কমান্ডার গিরিশ চন্দ্র নেতৃত্ব দেন।
বেলা ১১টার দিকে ওই সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম।
এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিএসএফের কাছে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ভোরের দিকে একদল ভারতীয় নাগরিক টহলরত বিএসএফ পোস্টে হামলা চালায়। তখন আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে এক ভারতীয় হামলাকারী নিহত হয়। বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর সঙ্গে বাংলাদেশ বা বিজিবির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারপরও সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
পতাকা বৈঠকের পর সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে গুলিতে নিহত ওই ভারতীয় চোরাকারবারীর মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ।