সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক আহতের ঘটনায় পতাকা বৈঠক,তাহিরপুর সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে দেলোয়ার হোসেন নামে (২২) একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে এবং হনুফা বেগম নামে এক নারীকে পিটিয়ে গুরুতর আহতের ঘটনায় দুই দেশের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার দেড়টার দিকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর বুরুঙ্গাচড়া নামক স্থানে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্যাকেরঘাট বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাফর আহমদ বলেছেন, বিজিবি সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করেছে এবং সর্তক অবস্থানে রয়েছে।
শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সাবেক সদস্যা ও বুরুঙ্গাচড়া গ্রামের সখিনা বেগম জানান, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে বুরুঙ্গচড়া গ্রামের পিছনে বাংলাদেশ সীমান্তের ভিতরের পাহাড়ি চড়ায় ৪-৫জন মহিলা সহ দেলোয়ার হোসেন নামে একজন গোসল করছিলেন। হঠাৎ ভারতীয় ৫-৬ জন বিএসএফ বাংলাদেশের ভিতরে প্রবেশ করে পাহাড়ি চড়াতে এসে কোনো কিছু না বলেই প্রথমে বৃদ্ধা হনুফা বেগমকে বেধড়ক পিটুনি দেয়। পরে ৫-৬ রাউন্ড এলোপাতাড়ি গুলি চুড়ে। একটি গুলি দেলোয়ার হোসেনের গায়ে লাগে। পরে গ্রামবাসী বিজিবিকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে বিজিবি আসার পূর্বেই বিএসএফ চলে যায়। পরে আহত অবস্থায় দেলোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল পাটিয়েছেন তারা।
এদিকে বিএসএফর গুলির শব্দে সীমান্ত এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। বুরুঙ্গা চড়া গ্রামের লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে দূরে অবস্থান করছে।
তাৎক্ষণিক বড়ছড়া শুল্কষ্টশনের জিরো পয়েন্টে বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে কোম্পানি কমার্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পতাকে বৈঠকে বাংলাদেশ বিজিবির পক্ষে নেতৃত্বদেন ট্যাকেরঘাট কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাফর আহমদ ও ভারতের বিএসএফর পক্ষে নেতৃত্ব দেন শিলং ১৯৩ ব্যাটালিয়নের বড়ছড়া বিএসএফর বড়ছড়া কোম্পানি কমান্ডার দিলিপ শিং। দুইদেশের মধ্যে ১৫ মিনিট ব্যাপী পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে ঘটনার বিষয়টি বিএসএফ প্রথমে অস্বীকার করে। পরে বিজিবি পক্ষ থেকে ঘটনা ও আহতদের ছবি দেখালে বিএসএফএর পক্ষে থেকে বলা হয় ঘটনা ঘটতেও পারে। তবে আগামীকাল (শনিবার) ঘটনাস্থল বিএসএফ পরিদর্শন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তাৎক্ষণিক পতাকা বৈঠকটি শেষ হয়।
অপর দিকে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (তাহিরপুর সার্কেল) মো. সাহিদুর রহমান, তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন প্রমুখ।
ট্যাকেরঘাট কোম্পানি কমান্ডার জাফর আহমেদ জানান, প্রথমে তারা ফায়ারিংয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে। পরে আমরা তা চ্যালেঞ্জ করে ঘটনা ও আহতদের ছবি দেখালে পরে তারা বলেন হলে হতেও পারে।
এ সময় বিএসএফ অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশী লোকদের ইট পাটকেলের আঘাতে বিএসএফের ৮ থেকে ১০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। একপর্যায়ে শেষ পর্যন্ত তারা ফায়ারিংয়ের বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল (শনিবার) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্তারিত জানাবেন বলে বিজিবিকে আশ্বস্ত করেন।
৭ বার পড়া হয়েছে।