রাইজিংসিলেট- সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার নবীনগরে ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার আসামি আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (১১মার্চ) বিকেলে হালুয়ারঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
শনিবার (৯মার্চ) সন্ধ্যায় ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন আসামি ২০ বছর বয়সী আলাউদ্দিন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শিশুটির মা অন্যের বাসায় কাজ করতে ও বাবা ভ্যান নিয়ে বাজারে গিয়েছিলেন। শনিবার বিকেলে নিজ বাড়ির পাশে উঠানে একাই খেলা করছিলো শিশুটি। সে সময় পাশের বাড়ির আলাউদ্দিন চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তার হাতে ২০ টাকা গুঁজে দেন। এরপর শিশুটিকে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের শিকার হয়ে শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাইরে এলে প্রতিবেশিরা তাকে ওই অবস্থায় দেখতে পান। পরে ঘটনা জানাজানি হলে দ্রুত পালিয়ে যান আলাউদ্দিন। ওইদিন বিকেলেই অসুস্থ শিশুটিকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান তার বাবা।
ঘটনার বিষয়ে আপোষ করতে ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারকে বিবাদীর পরিবারের সদস্যরা চাপ দেন বলে মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়। তবে শিশুটির বাবা তাতে তিনি রাজি না হলে তাকে ভয়ভীতিও দেখানো হয়।
খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর বাড়ি পরিদর্শনে যান সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশের এসআই মতিউর রহমান। এরপর ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেন। মামলায় মাইজবাড়ি পূর্ব পাড়ার (বর্তমান নবীনগর) ২০ বছর বয়সী আলাউদ্দিন, তেঘরিয়া মাঝের হাটির ২৪ বছর বয়সী বিল্লাল হোসেন এবং পার্বতীপুরের ২০ বছর বয়সী জাহিদ প্রকাশ জাহাঙ্গীরকে আসামি করা হয়।
মামলা পেয়ে শনিবার রাতভর অভিযান পরিচালনা করে থানা পুলিশ। কিন্তু আসামিকে ধরতে না পেরে তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অভিযোগে আলাউদ্দিনের বাবা, মা, মামাতো ভাই ও ভগ্নিপতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে শর্ত সাপেক্ষে তার মা-বাবাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
পরবর্তীতে সোমবার বিকেলে হালুয়ারঘাট এলাকা থেকে আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তিনি দোষ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যার আগে আসামি আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সে পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করেছে। আগামীকাল (আজ) তাকে আদালতে হাজির করা হবে।’
ভুক্তভোগী শিশুটির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিশুটি বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে চিকিৎসাধীন আছে।’