শনিবার সকাল ১১ টায় শহরের শহীদ জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান পদ বঞ্চিত বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
দলের নির্যাতিত ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করা, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীদের দলে স্থান দেওয়াসহ নানা অভিযোগ এনে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সকল ইউনিটের কমিটি স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির একাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উল্লেখ করা হয়, ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ হাসিনা মুক্ত হলেও মুক্ত হয়নি সুনামগঞ্জের বিএনপি। বিগত আন্দোলন সংগ্রামকে ৪০০ গজের আন্দোলন উল্লেখ করে সিন্ডিকেটের কারণে দলের ভিতরে বিভক্তি ও বিভাজন রয়েছে বলে জানানো হয়। বিগত ৪ নভেম্বর সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি’র যে কমিটি গঠন করা হয় সেখানে ত্যাগীদের মূল্যান না করে একাধিক আওয়ামী সুবিধাভোগীদের স্থান দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিট কমিটি সিন্ডিকেট অনুকূলে ঘোষনা দেয়া হয়েছে।
অনুমোদিত সকল ইউনিটের কার্যক্রম স্থগিত করে পুনঃগঠন না করা হলে পাল্টা কমিটি গঠনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আ স ম খালিদ পীরের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান। এসময় পদ বঞ্চিত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের সাথে আলোচনা না করে পচন্দের মানুষ দিয়ে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করা হয়। দলের পদবী দেওয়ার আশ্বাসে অর্থ লেনদের অস্বচ্ছতা, ইউনিয়নের নেতাদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করা। চিহ্নিত আওয়ামী কর্মকান্ডে জড়িত ও সুবিধাভোগীদের কমিটিতে স্থান দেয়া, দলছুট অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদের হাতে নেতৃত্বসহ এই দুই ইউনিটে জেলা কমিটির একাধিক নেতাকে পদপদবী দেয়ার অভিযোগ তোলা হয়।
এ বিষয়ে জানতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের মুঠোফোনে কল করা হলে কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
দলের দায়িত্বশীলদের এহেন আচরণে সাড়া জেলায় দলের কাঠামো ভেঙ্গে পড়ার পাশাপাশি জেলার বিএনপি’র রাজনীতি নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। সকল ইউনিট সহ জেলা কমিটি স্থগিত করতে সংশ্লিষ্টদেন প্রতি আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মলনে।