সেন্টমার্টিনের এক ইঞ্চি জমিও কাউকে দেওয়া হবে না,সেন্টমার্টিন দেশের একটি ভূখণ্ড বলেছেন,আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম । সেই ভূখণ্ড কারও দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে মাদারীপুরের কুকরাইল এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধে না গিয়ে শান্তির মাধ্যমেই সেন্টমার্টিনের মানুষকে নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করার জন্য সংকল্পবদ্ধ। যুদ্ধ নয়, শান্তিই হলো একমাত্র মন্ত্র। যে মন্ত্রের মধ্যে দিয়ে উন্নয়ন-অগ্রগতির পথ প্রশস্ত হয়।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সেন্টমার্টিনে বাংলাদেশের মানুষরাই বসবাস করে। তাদের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। তাদের জীবন ও জীবনমান সমুন্নত রাখা বর্তমান সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার। বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না, শান্তি চায়, সেন্টমার্টিন সরকারের অধিকারেই আছে। এরই মধ্যে মিয়ানমারের যুদ্ধ জাহাজ নাফ নদী থেকে সরে গেছে। এ সমস্যা নিয়ে কূটনৈতিকভাবে কথা বলা হচ্ছে।
বেনজীর আহম্মেদের বিষয় নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের সমলোচনা করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ঘুম থেকে উঠেই বিএনপি অভিযোগ দিয়ে যায়। তাদের কাজই হলো অসত্য কথা বলা। বিএনপি মনে করে মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা সম্ভব। বিএনপি তো দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার রাখে না। কারণ বিএনপি নিজেরাই দুর্নীতিবাজ।
বেনজীর আহম্মেদের দুর্নীতির বিষয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহম্মেদ অর্থসম্পদ লুট করেছে এটা আগে যদি জানা থাকতো তাহলে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কোনোভাবেই তিনি পুলিশের আইজিপি হতে পারতো না। সম্পদ লুণ্ঠন করেছে বলেই সাবেক পুলিশপ্রধান ধরা পড়েছে। এটা শেখ হাসিনা সরকারের সময়ই ধরা পড়েছে। আইন অনুযায়ী বেনজীর আহম্মেদের বিচারের পথ তৈরি হয়েছে। আইন অনুযায়ী তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু বেনজীর আহম্মেদই নয়, দুর্নীতির জিরো টলারেন্সনীতি এটা হলো আওয়ামী লীগ সরকারের নীতি।
তিনি আরও বলেন, কোনো দুর্নীতিবাজদের জায়গা আওয়ামী লীগের মধ্যে নেই। তেমনি এ সরকারও কোনো দুর্নীতিবাজকে ছাড় দেবে না। যারা রাষ্ট্রের সম্পদ লুট করে, মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলবে, তাদের প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের জিরো টলারেন্সনীতি। এটা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার।
পরে বাহাউদ্দিন নাছিম দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক খান, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।