raising sylhet
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৫ জানুয়ারি ২০২৩
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্ত্রীকে পতিতা পল্লীতে বিক্রির টাকায় স্বামীর বিদেশ

rising sylhet
rising sylhet
জানুয়ারি ৫, ২০২৩ ৪:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাইজিংসিলেট-স্ত্রীকে পতিতা পল্লীতে বিক্রির টাকায় স্বামীর বিদেশ, আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ভুক্তভোগী নারী সাহিনুর বেগম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

পটুয়াখালীর পতিতা পল্লীতে বিক্রি হয়ে যাওয়া এক নারী তার স্বামীর কাছে স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

ওই নারী লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, বরিশাল সদর উপজেলার ভেদুরিয়া গ্রামে ১৪ বছর আগে কিশোরী বয়সে তার বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় ২ বছর পর তার স্বামী বিদেশ যাওয়ার কথা বলে তার কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। একদিন নির্যাতনের পরে চিকিৎসার নাম করে তাকে বরিশাল শহরে নিয়ে আসে এবং কিছু ওষুধ খাওয়ায়। সে সময় তার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।

সেখান থেকে তাকে পটুয়াখালীতে নিয়ে আসে এবং এক বাসায় রেখে তার স্বামী চলে যায়। পরে ওই নারী জানতে পারেন তাকে পটুয়াখালী পতিতালয়ের দালালের কাছে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা নেয়া হয়েছে। আর সেই টাকা দিয়েই বিদেশ যান তার স্বামী। এদিকে ওষুধ খাওয়ার ২০ দিন পরে একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন তিনি। দীর্ঘ ১০ বছর পতিতালয় থেকে মুক্তি মেলে তার। এখন নিজে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন।

তবে সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন তার স্বামী দেশে ফিরেছেন। এমন খবর পেয়ে ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর তিনি তার স্বামীর বাড়ি যান। এসময় পথে চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে তার স্বামীকে দেখতে পেলে তার স্বামী তাকে একটি দোকানে নিয়ে বসায় এবং তিনি কেন সেখানে গেছেন সে জন্য তাকে গালমন্দ করেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমি স্ত্রী বলে দাবি করলে আমার উপর চড়াও হয়। এক পর্যায় ৬নং ওয়ার্ডের ভেদুরিয়ার ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন সুজন ও স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার লিটন এর সহযোগিতায় পরিষদের এক রুমে আটকিয়ে আমাকে মারধর করে। ওই সময় আমাদের সঙ্গে থাকা টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, বন্দর থানা পুলিশের মাধ্যমে আমাদেরকে উদ্ধার করে পটুয়াখালীতে পাঠিয়ে দেয়।

ওই নারী সংবাদ সম্মেলনে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি কি অপরাধ করেছি ,আমার জীবনটা কেন এমনভাবে চলবে। আমিতো স্বামীর সংসার করতে চাই। আমাকে যখন বিয়ে করা হয়েছে তখন আমি সবে মাত্র সাবালক হয়েছিলাম। সেই থেকে আমাকে নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে। আমি আমার স্বামীর কাছে স্ত্রীর অধিকার ফিরে না পেলে আমার মরণ ছাড়া কোনো উপায় নাই।

১১৪ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।