স্থাপনা না ভাঙতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট ।
বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
২০১৪ সালের আইন ও ২০১৬ সালের বিধিমালা মেনে পরিচালিত রেস্তোরাঁ ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।
রুলে ২০১৪ সালের বাংলাদেশ হোটেল ও রেস্তোরাঁ আইন এবং ২০১৬ সালের বিধিমালা মেনে পরিচালিত রেস্তোরাঁ ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে ও রেস্তোরাঁর কোনো স্থাপনা না ভাঙতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর কিছু সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ আইন অনুসরণ না করে নির্বিচারে রেস্তোরাঁ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। আইন মেনে চলা ও অনুমতিপ্রাপ্ত রেস্তোরাঁ সিলগালা করে দেওয়া হচ্ছে। এতে সরকার রাজস্ব হারাবে এবং অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। কেননা, এ ব্যবসা বৃহৎ একটি শিল্প। এখান থেকে সরকার ২২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পায়। এ শিল্পে ৪৫ লাখ লোক সরাসরি কর্মরত।
বাণিজ্য সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।