রাইজিংসিলেট-স্পা সেন্টারে সাত নারীর বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা অভিযোগ, বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসিব। রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরের ৪৭ রোডের ২৫ নম্বর আবাসিক ভবনে স্পা সেন্টারের মালিক, ব্যবস্থাপক ও স্পা সেন্টারের ফ্ল্যাটের মালিককে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
এছাড়াও ডিএনসিসির অভিযানে আটক সাত নারীর বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা করার অভিযোগে ডিএমপির অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রসিকিউশন ইউনিটের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
অভিযান চালানোর ঘটনায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান থানায় মামলাটি করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন, স্পা সেন্টারের মালিক হাসানুজ্জামান ওরফে হাসান, তার স্ত্রী ও স্পা সেন্টারের ম্যানেজার সাইনুর আক্তার পায়েল ও ফ্ল্যাটের মালিক এটিএম মাহাবুবুল আলম।
গুলশানের স্পা সেন্টারে অভিযানের ঘটনায় ডিএনসিসির প্রসিকিউশন অফিসার (অঞ্চল-৩) আব্দুস সালাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা সংঘবদ্ধভাবে অনৈতিক উপায়ে লাভবান হওয়ার জন্য পতিতালয় চালাচ্ছিল। মামলাটি আমরা তদন্ত করছি। এছাড়া ডিএনসিসির অভিযানে আটক সাত নারীকে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ডিএমপির অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রসিকিউশন ইউনিটের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
স্পা সেন্টার থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত ফারজানা আক্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই হাসিব বলেন, ফারজানা আক্তারের মৃত্যুর বিষয়টি অপমৃত্যু হিসেবে রেজিস্টার হয়েছে। আমরা এখন তদন্ত করে দেখব আসলে তার মৃত্যুর কারণ কী। এছাড়া আমরা তদন্তে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব সে আসলে কীভাবে মারা গেছে।
মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে খোঁজ খবর নিয়েছি, মামলার আসামিরা এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া পতিতালয় চালানোর যে অভিযোগ আনা হয়েছে এতে আসামিদের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।
৬ বার পড়া হয়েছে।