
রাইজিংসিলেট- দেশের তিনটি জেলায় পরিচালিত অভিযানে স্বাস্থ্য, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং খাদ্য খাতে নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানী, সাতক্ষীরা ও যশোরে এসব অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে অননুমোদিত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, নথিপত্রে গরমিল, নিম্নমানের পণ্য মজুদ এবং দালালচক্রের সক্রিয়তার মতো একাধিক অনিয়ম ধরা পড়ে।
রাজধানীতে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রাজউকের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক টিম। এ সময় তারা প্লট বরাদ্দ-সংক্রান্ত আবেদন, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং এমআইএস তথ্যসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে, পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য গ্রহণ করে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে রোগীদের সেবা না দিয়ে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠানোর অভিযোগে অভিযান চালায় দুদকের খুলনা জেলা কার্যালয়। এ সময় সাতজন দালালকে হাতে-নাতে আটক করা হয় এবং তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়। পাশাপাশি আশপাশের ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতেও অভিযান চালানো হয়, যেখানে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্সবিহীনভাবে পরিচালিত হতে দেখা যায়।
যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ সরকারি খাদ্য গুদামে নিম্নমানের চাল মজুদ এবং পরিমাণ গরমিলের অভিযোগে পরিচালিত অপর অভিযানে দেখা যায়, গুদামে সংরক্ষিত বেশ কয়েকটি বস্তায় নিম্নমানের চাল রয়েছে। গুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষকদের কাছ থেকে সংগৃহীত ধানের তালিকা দেখাতে পারেননি, যা অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
দুদক জানায়, অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেয়া হবে।