৩৬৯ জন হাজি নিয়ে পবিত্র হজ সম্পন্ন করে প্রথম ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন । মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে ওই হাজিদের নিয়ে সৌদি এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ‘এসভি-৩৮০৩’ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, আজ আরও সাতটি ফিরতি ফ্লাইটে আড়াই হাজারের বেশি হাজি দেশে ফিরবেন। ফিরতি হজ ফ্লাইট চলবে আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত।
এ সময় বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজে হাজিদের স্বাগত জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। তিনি ফুল দিয়ে প্রথম ফিরতি ফ্লাইটের হাজিদের বরণ করে নেন। বিমানবন্দরে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও হজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।
গত ৫ জুন আরাফার ময়দানে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। এবার বাংলাদেশ থেকে ৮৭ হাজার ১৫৭ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজ পালন করেছেন। তিনটি এয়ারলাইনসের মোট ২২৪টি ফ্লাইটে এ হজযাত্রীরা সৌদি আরবে গেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১০৮টি ফ্লাইটে ৪২ হাজার ৪০৪ জন, সৌদি এয়ারলাইনসের ৮৩টি ফ্লাইটে ৩১ হাজার ৬৭৬ জন ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের ৩৩টি ফ্লাইটে ১৩ হাজার ৭৭ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে যান।
ফিরতি হজযাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরে নেওয়া হয়েছে কয়েকটি বিশেষ ব্যবস্থা। বেবিচক জানিয়েছে, এভসেক পুরো হজযাত্রী চলাচল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ফ্লাইট আগমনের পর আনসার সদস্যরা হাজিদের স্বাগত জানিয়ে সঠিক পথে গাইড করবেন। ইমিগ্রেশন পুলিশ ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের তত্ত্বাবধানে হাজিদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ কাউন্টারে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এতে করে ভিড় এড়ানো এবং দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। লাগেজ বেল্ট ৫, ৬, ৭ ও ৮ শুধু হাজিদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। আনসার সদস্যরা হাজিদের লাগেজ সংগ্রহে সহায়তা করবেন। লাগেজ সংগ্রহ শেষে হাজিরা গ্রিন চ্যানেল-২ দিয়ে কাস্টমস পার হবেন। এরপর তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তত্ত্বাবধানে জমজমের পানি সংগ্রহ করবেন এবং ক্যানোপি-২ দিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন।
এবার হজে গিয়ে মোট ১৯ বাংলাদেশি (১৭ জন পুরুষ ও দুইজন নারী) হজযাত্রী মারা গেছেন। এদের মধ্যে মক্কায় ১১ জন, মদিনায় ৭ জন ও আরাফার ময়দানে একজন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
এপিবিএনের ব্যবস্থাপনায় হাজিদের জন্য নির্ধারিত ড্রাইভওয়েতে যান চলাচল সুনিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।