পুলিশি হয়রানি বন্ধ, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং সুবিধাসহ ৯ দফা দাবিতে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক-শ্রমিক সমিতির ডাকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। আজ রোববার (১৯ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়। এতে যান চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তারা ক্ষোভও প্রকাশ করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর বাস টার্মিনালে অনেক যাত্রী এসে যানবাহন না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। জরুরি কাজে তারা গন্তব্যে যেতে না পেরে হতাশা প্রকাশ করছিলেন। অনেকেই কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
মাধবপুর যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনালে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মো. ফয়েজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সকালে কর্মস্থলে যাব, এখন এসে দেখি বাস নেই। এভাবে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া বাস চালানো বন্ধ রাখা ঠিক না। এতে আমরা সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি।’
হবিগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. সজিব আলী বলেন, ‘হাসপাতাল প্রাঙ্গনে অ্যাম্বুলেন্স রাখার জায়গা থাকলেও কর্তৃপক্ষ আমাদের অ্যাম্বুলেন্স রাখতে দিচ্ছে না। তাই আমরা চাই আমাদের একটি নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড দেয়া হোক। এছাড়াও আমাদের আরও কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলো সমাধানে আমরা প্রশাসনকে নয় দফা দাবি জানিয়েছি।’
ধর্মঘটকারীরা জানান, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে অন্তত ৪০টি প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স রোগী পরিবহন করে আসছে। সম্প্রতি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে এক সপ্তাহ ধরে জরুরি সেবা বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করে আসছে জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতি। এ ধর্মঘটের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে গতকাল শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে জরুরি সভা করে পুরো জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।