হরিপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ।
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ৫ নং ফতেহপুর ইউনিয়নের দলইপাড়া গ্রামের মরহুম আব্দুল মালিক (আমির সাব) এর জৈষ্ঠ পুত্র হাফিয মাওলানা আব্দুশ শাকুর (৬০) কে গত ২৪ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৯ টায় পথরোধ করে ধারালো ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে ২৯ নভেম্বর বুধবার হরিপুর বাজার বাসস্ট্যান্ডে এলাকাবাসীর আয়োজনে এক বিরাট বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর পাঁচদিন অতিবাহিত হয়ে গেলো, কিন্তু উল্লেখযোগ্য কোনো আসামী এখনো গ্রেফতার না হওয়া নিতান্তই দুঃখজনক। বক্তারা বলেন, আমরা প্রশাসনের ওপর আস্তা রেখেছিলাম, কিন্তু তাঁরা সেই আস্তার সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমরা এখন থেকে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণে বাধ্য হবো। যদি অবিলম্বে আসামিদের গ্রেফতার করা না হয়, তাহলে সিলেট-তামাবিল লাইন অবরোধের কঠিন কর্মসূচিরও হুমকি দেন বক্তারা।
মাওলানা আব্দুল কাদির বাগেরখালীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা জয়নাল আবেদীন ও মাওলানা মীম সুফিয়ানের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জৈন্তাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জনাব মুহিব্বুল হক মুহিব, জৈন্তাপুর উপজেলার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন এম এ, ৫নং ফতেহপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রফিক আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান এম এ মতিন, হরিপুর বাজার মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা হিলাল আহমদ, হেমু মাদরাসার মুহতামিম মুফতি জিল্লুর রহমান, মাওলানা আব্দুল জব্বার, মাওলানা শামসুদ্দিন ইলিয়াস, জাকারিয়া মাহমুদ, আলাউদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে তিনটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়-
১.আগামি ৩ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান। সাথে সাথে এস পি ও ওসি বরাবরে অনুলিপি প্রেরণ।
২. ১০ ডিসেম্বর রবিবার জৈন্তাপুর উপজেলা প্রোফারে প্রতিবাদ সভা।
৩. যদি এর মধ্যে আসামি গ্রেফতার না করা হয়, তাহলে এলাকার মুরব্বিয়ান ও আলেম সমাজের সাথে পরামর্শক্রমে জৈন্তা অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি হাতে নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ৫নং ফতেহপুর ইউনিয়ন (হরিপুর) এর বাগেরখাল দলইপাড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধ-কে কেন্দ্র করে একই এলাকার প্রতিবেশী হাজির আলী, পুত্র নজরুল ইসলাম, তার ভাই বদরুল ইসলাম সহ প্রতিপক্ষ ৭/৮ জনের সংঘবদ্ধ গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাওলানা আব্দুশ শাকুরকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এই ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে হাজির আলী, নজরুল ইসলাম, বদরুল ইসলাম, সাবেক মেম্বার আবুল মিয়া ও তার ভাই বাবুল গংকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এই পর্যন্ত বাবুল মিয়া (৬৩) ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি।