হামলা-ভাঙচুরের ভয়ে রাস্তায় বেরোতে ভয় পাচ্ছেন পরিবহন শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
জ্বালাও-পোড়াও আতঙ্কে সিলেটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারছেন না বেশিরভাগ ব্যবসায়ী। কোথাও আতঙ্ক নিয়ে দোকান খুললেও বিক্রি একেবারেই কম।
এদিকে, হামলা-ভাঙচুরের ভয়ে রাস্তায় বেরোতে ভয় পাচ্ছেন পরিবহন শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষ। হরতাল, প্রথম দফা অবরোধের তিন দিন এবং দ্বিতীয় দফা অবরোধের দুই দিনে সিলেটে প্রায় অর্ধশত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আগুন দেওয়া হয়েছে কমপক্ষে ১০টি গাড়িতে। ফের ডাকা হয়েছে দুই দিনের (বুধ ও বৃহস্পতিবার) অবরোধ।
সাধারণত হরতাল-অবরোধ হলে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। দোকানপাটে কমে যায় বেচা-বিক্রি। ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য বিভিন্ন স্থানে পৌঁছাতে পারেন না। সে কারণেও বিক্রিতে ভাটা পড়ে। আবার ক্রেতারাও ঝুঁকি নিয়ে পণ্য কিনতে বের হতে চান না।
হরতাল-অবরোধ হলে পরিবহন সংকটে বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া কাঁচামালও সংগ্রহ করতে পারে না ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যাহত হয় উৎপাদন। যার প্রভাব পড়ে আমদানি-রপ্তানিতেও। পাশাপাশি পরিবহন ব্যবসায়ীদের ক্ষতিও কম নয়। সমস্যায় পড়েন ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও। কারণ, বেশিরভাগ হরতালেই তাদের ব্যবসা গুটিয়ে বসে থাকতে হয়। ফুটপাত ও পাড়া-মহল্লায় মানুষের আনাগোনা থাকে কম। ২৯ অক্টোবরের হরতাল এবং পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াতের দুই দফা অবরোধে সিলেটজুড়ে এমনটাই দেখা যায়।
৭১ বার পড়া হয়েছে।