মানবাধিকার সংস্থাগুলোর যুক্তি ছিল, নেদারল্যান্ডসের সরবরাহ করা যন্ত্রাংশগুলো হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনে ভূমিকা রাখছে।
রায়ে বলা হয়, আদালত সাতদিনের মধ্যে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের সেসব যন্ত্রাংশের রপ্তানি ও ট্রানজিট বন্ধে আদেশ দিচ্ছে, যেগুলোর চূড়ান্ত গন্তব্য ইসরায়েল।
মার্কিন মালিকানাধীন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ নেদারল্যান্ডসের একটি গুদামে সংরক্ষণ করা হয়। বিদ্যমান রপ্তানি চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলসহ বেশ কয়েকটি অংশীদার দেশের কাছে এসব যন্ত্রাংশ পাঠানো হয়।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো যুক্তিতর্কে বলে যে, এর (যন্ত্রাংশ সরবরাহ) মাধ্যমে নেদারল্যান্ডস গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনে ভূমিকা রাখছে।
গেল ডিসেম্বরে হেগের একটি জেলা আদালত বলেছিল, যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা ছিল প্রাথমিকভাবে একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, যাতে বিচারকদের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
গাজায় ইসরায়েলের ব্যবহার করা এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা নেদারল্যান্ডসকে বন্ধ করতে হবে। সোমবার এক ডাচ আদালত মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আপিল বহাল রাখার পর এ আদেশ দেয়।
গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। হামলায় এক হাজার ১৬০ জনের প্রাণ যায়, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক। হামাস যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে। ইসরায়েল বলছে, ১৩০ জিম্মি এখনো গাজায় রয়ে গেছে। ২৯ জনের প্রাণ গেছে বলে মনে করা হয়।
জবাবে ইসরায়েল হামাস শাসিত গাজায় হামলা শুরু করে। হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, সোমবার পর্যন্ত গাজায় ২৮ হাজার ৩৪০ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ডাচ কর্তৃপক্ষ বলেছে, এফ-৩৫ যন্ত্রাংশ সরবরাহে তাদের হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা আছে কি না, সে বিষয়ে তারা স্পষ্ট নয়। সরকারি আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, নেদারল্যান্ডস সেগুলো সরবরাহ না করলেও, ইসরায়েল যেকোনো জায়গা থেকে তা সহজেই সংগ্রহ করতে পারবে।