হিজবুল্লাহ-ইসরায়েলে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে।
৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ। তখন থেকেই লেবানন ও ইসরায়েল সীমান্ত ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার সাক্ষী হয়েছে।
লেবাননের জাতীয় বার্তাসংস্থা বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণ করেছে।
ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে এ হামলা চালানো হচ্ছে, যেখানে ইসরায়েলি বোমায় গোষ্ঠীটির সাত যোদ্ধা নিহত হন।
এ সীমান্তে অনেকবারই কামানের গোলা নিক্ষেপ ও রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হিজবুল্লাহ বলেছে যে, তারা ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে ২০টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে।
হামলায় ইসরায়েলি বাহিনীতে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
একটি হামলা চালানো হয়েছে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের সাফেদ শহরের কাছে এইন জেইতিমের সামরিক ঘাঁটিতে।
এতে ৪৮টি কাতিউশা রকেট ছোড়ার দাবি করেছে হিজবুল্লাহ।
হামলায় ভারী বুরকান ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। গেল মাসে সংঘাত শুরুর পর থেকে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় রকেট হামলার ঘটনা এটি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, হামলার জবাবে তাদের হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। পাশাপাশি তাদের রকেট উৎক্ষেপণের স্থানেও আঘাত করেছে।
হিজবুল্লাহ বলছে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি ইসলামি আন্দোলনের হামলার পর থেকে তারা হামাসের সমর্থনে কাজ করছে। হামাসের হামলায় ইসরায়েল এক হাজার ২০০ এর মতো লোকের প্রাণ যায়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক।