
ভারতের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফ ১১ মাসে সীমান্তে ৩০ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে । গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার মুরইছড়া সীমান্তে সুখীরামের ২৫) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত সুখীরামের বাড়ি কর্মধার মুরইছড়া বস্তি এলাকায়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নভেম্বর মাসের তথ্য বলছে, গত ১১ মাসে বিএসএফের গুলিতে ২৮ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তবে গত বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ও বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে দুইজনকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। ফলে ওই ২ হত্যাকান্ড প্রতিবেদনে উঠে আসেনি। সবমিলিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ১১ মাসে সীমান্তে হত্যার সংখ্যা ৩০ জনে দাঁড়ালো।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র গত ১১ বছরে নিহত হয়েছেন ৩৪৫ জন। আওয়ামী লীগ আমলেও বছরে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২০১৪ সালে ৩২ জন, ২০১৫ সালে ৪৬ জন, ২০১৬ সালে ৩১ জন, ২০১৭ সালে ২ জন, ২০১৮ সালে ১৫ জন, ২০১৯ সালে ৪৩ জন, ২০২০ সালে ৪৯ জন, ২০২১ সালে ১৮ জন, ২০২২ সালে ২৩ জন এবং ২০২৪ সালে ৩০ জন নিহত হয়েছেন
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য মতে, সীমান্তে গুলির জন্য অবৈধ অনুপ্রেবেশকে যুক্তি দেখাচ্ছে ভারত। তবে বাংলাদেশ বলছে, এই অজুহাতে নিরস্ত্র নাগরিক হত্যা করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে ভারত। সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে প্রতিশ্রুতিও ভঙ্গ করছে।
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে ৭ দেশের। এর মধ্যে বিএসএফের গুলিতে সর্বোচ্চ হত্যার ঘটনা ঘটে বাংলাদেশ সীমান্তে। ২০১৪ সালে সীমান্তে মারণাস্ত্র ব্যবহার বন্ধে ২ দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়। কিন্তু তা নিয়মিত উপেক্ষা করছে ভারত।