• ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১১ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

৫টাকার বিস্কুট খাওয়ার অপরাধে শিশুকে রশি দিয়ে বেধে নির্যাতন

risingsylhet.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ৩, ২০২৩
৫টাকার বিস্কুট খাওয়ার অপরাধে শিশুকে রশি দিয়ে বেধে নির্যাতন

রাইজিংসিলেট-৫টাকার বিস্কুট খাওয়ার অপরাধে শিশুকে রশি দিয়ে বেধে নির্যাতন, সোমবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার নাওহাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাদারীপুরে মাত্র ৫ টাকা দামের একটি বিস্কুট খাওয়ার অপরাধে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে রশি দিয়ে বেঁধে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দোকানদারের বিরুদ্ধে। পরে শিশুটিকে রাতে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত শিশু লিয়ন ওই গ্রামের দুলাল ফকিরের ছেলে। অভিযুক্ত মান্নান খাঁ একই গ্রামের সুরাত খানের ছেলে।

স্বজনদের অভিযোগ, সোমবার বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার তাঁতিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে বাড়ি ফিরে বন্ধু আমিনের সঙ্গে বাড়ির পাশের দোকানে যায় চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী লিয়ন। দোকানি না থাকায় দুই বন্ধু মিলে ৫ টাকা দামের একটি বিস্কুট নিয়ে খেতে শুরু করেন। মুহূর্তেই দোকানি মান্নান খাঁ চলে আসলে চুরির অপবাদ দিয়ে লিয়নকে কাঠ দিয়ে বেদম মারধর করে। পরে নিয়ে যাওয়া হয় মান্নানের বাড়িতে। সেখানে রশি দিয়ে দুই হাত বেঁধে শিশুটির উপর চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন। লিয়নের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন ওই দোকানি। পরে ওই শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগী লিয়ন ফকির বলেন, ‘আমার বন্ধু আমিন খাঁ আমাকে বিস্কুট নিতে বলেছিল। ওর জন্য এক প্যাকেট আর আমার জন্য এক প্যাকেট নিয়েছি। পরে দোকানদার এসে আমাকে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে কাঠের লাঠি দিয়ে মারে। আমি অনেক বার ক্ষমা চেয়েছি, উনি আমার কথা শোনেননি। পরে বাড়িতে নিয়ে আবারও মেরেছে।’

এদিকে ঘটনার পর পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত মান্নান খাঁ। এ ব্যাপারে জানতে তার মোবাইলে ফোন করেও উত্তর মেলেনি।

লিয়ন ফকিরের মা রাজিয়া বেগম বলেন, ‘আমার ছোট ছেলে হয়ত ভুল করে বিস্কুট খেয়েছে। তাই বলে এভাবে কেউ মারধর করে। আমাদের কাছে বললে, বিস্কুটের দাম দিয়ে দিতাম। আমার ছেলেটির জ্বর এসে পড়েছে। শরীরে বড় বড় দাগ হয়ে গেছে।’

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আবু সফর হাওলাদার বলেন, ‘শিশুটির বাম হাতের বাহুতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাছাড়া দুই হাতে মোটা দড়ির দাগ ছিল। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি রেখেছি। বর্তমানে আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো আছে।’

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। যদি পরিবার থেকে অভিযোগ দেয়, তাহলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

বার পড়া হয়েছে।