বৃহত্তর সিলেটের অরাজনৈতিক কল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সিলেট কল্যাণ সংস্থা (সিকস), সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা ও সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ১২ নভেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার বেলা ১১.০০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে সিম কোম্পানীগুলোর মিনিট ও এমবি’র লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি রোধ সহ রির্চাজের টাকা মেয়াদ শেষে সিমে থাকার দাবিতে ৩০ মিনিট অবস্থান কর্মসূচী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, অর্থ মন্ত্রণায়লয়ে উপদেষ্টা, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা (মাধ্যমঃ জেলা প্রশাসক, সিলেট) বরাবরে সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচীতে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সিম কোম্পানীগুলো মিনিট ও এমবি’র মূল্যবৃদ্ধি রোধ সহ রিচার্জের টাকা মেয়াদ শেষে সিমে থাকার ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণার হুশিয়ারী দেওয়া হয়।
জাতীয় যুব দিবস-২০১০ এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের সভাপতিত্বে ও সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর পরিচালনায় ৩০ মিনিট অবস্থান কর্মসূচীতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ মুখতার আহমেদ তালুকদার। বক্তব্য রাখেন সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুয়েল আহমদ বক্ত তুষার, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ খান, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান, সিলেট জেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মখছুছুর রহমান, সিলেট মহানগর কমিটির সভাপতি জাকারিয়া মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সাকের, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম শিতাব ও মানবাধিকার কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অবস্থান কর্মসূচী ও স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মোঃ আজমল আলী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আল-আমিন আহমদ, সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ আশরাফ উদ্দিন, সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান শিবলু, সিলেট মহানগর কমিটির সিনিয়র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দিপক কুমার মোদক বিলু, যুবনেতা মোঃ আব্দুল আলী, সজল পাল, মোঃ তফজ্জুল ইসলাম, মোঃ খালেদুর রহমান, ফিরোজ আহমদ, ইমতিয়াজ মুহাঃ ফয়ছল, সন্তোষ কুমার নাথ, রহমত আলী, মোঃ ইসহাক ও বজলুর রশীদ।
স্মারকলিপির বিষয়বস্তুঃ আঠারো কোটি মানুষের দেশে প্রায় ১০ থেকে ১২ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছেন। পৃথিবীর প্রায় দেশেই সময়ের পরিবর্তনে ও ব্যবসায়ীক প্রতিযোগিতার কারণে সিম কোম্পানীগুলোর মিনিট ও এমবি’র মূল্য অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। পাশ^বর্তী দেশগুলোতে অনেক কমমূল্যে মাসব্যাপি মোবাইল ব্যবহার করা যায় কিন্তু আমাদের দেশে সিম কোম্পানীগুলো উল্টে পথে হাঁটছে। এবছরের শুরু থেকে অদ্যবধি মিনিট ও এমবি রিচার্জে অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে মেয়াদ ভোগান্তি। প্রায়শই মোবাইলের সিমে থাকা টাকা, মিনিট ও এমবি মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই কেটে নেয় সিম কোম্পানীগুলো। মেয়াদ শেষ হতে পারে, তাই বলে আমার ব্যবহ্নত টাকা, মিনিট ও এমবি সিম থেকে কেটে নেওয়ার অধিকার সিম কোম্পানীগুলো রয়েছে বলে আমার সাধারণ জনগন মনে করি না। মেয়াদ শেষ হতে পারে, আমার সিমে থাকা টাকা, মিনিট ও এমবি নতুনভাবে রির্চাজের সাথে সাথেই ফিরে পাবো বলে আমরা আশাকরি। কিন্তু সিম কোম্পানীগুলো রিচার্জের টাকা ফিলে দেয়না। একটি সাধারণ হিসেবে দেখা যায়, প্রায় ১০ থেকে ১২ কোটি লোকেরা সবাই যদি ২০ টাকা করে মোবাইলে রিচার্জ করি, তাহলে প্রায় এক দিনে শত কোটি টাকা কোম্পানিগুলো সিস্টেমের মাধ্যমে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এই ভয়াবহ প্রতারণার হাত থেকে আমার সাধারণ জনগণ মুক্তি চাই। রিচার্জের মেয়াদ শেষে খরচ না হওয়া টাকা কি পচে যায়? তা না হলে পরবর্তী রিচার্জের সঙ্গে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না কেন? মোবাইলের সিম রিচার্জের মেয়াদ শেষে অব্যবহৃত মিনিট ও এমবি অপারেটররা কেটে নেওয়া এবং সিম কোম্পানীগুলোর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায়, গতমাসে ও এই মাসের মূল্যবৃদ্ধি মোবাইল ব্যবহারকারী সাধারণ জনগণকে কিংকর্তব্যবিমূড় করে ফেলেছে। কি কারণে সিম কোম্পানী এতো অস্বাভাবিক মাত্রায় মূল্য বৃদ্ধি করলো? তা তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু সমাধান, আপনার মাধ্যমে হবে বলে আমরা মোবাইল ব্যবহারকারীরা আশাবাদী। তাই সিম কোম্পানীগুলোর মিনিট ও এমবি’র অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধ সহ রির্চাজের টাকা মেয়াদ শেষে সিমে সুরক্ষিত থাকার ব্যাপারে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি। মোবাইল ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে ও সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে সিম কোম্পানীগুলোর মূল্য হ্রাস করে পূর্বের মূল্য নির্ধারণ ও মেয়াদ শেষে রিচার্জের টাকা সিমে থাকার ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে আপনার মর্জি হয়।