
অন্তর্র্বতী সরকারের দুই উপদেষ্টা আন্দোলনরত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ।
দুই উপদেষ্টার মধ্যে রয়েছেন- বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
বুধবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার পর রেলভবনে এই বৈঠক শুরু হয়। এতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১১ প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
এদিকে নিজেদের পক্ষে ফলাফল আসার আগ পর্যন্ত সড়ক ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন শাহবাগ মোড়ে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা।
দুপুরে প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারীদের দাবির যৌক্তিকতা যাচাই ও সুপারিশ প্রণয়নের জন্য আট সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। কিন্তু সেই কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। উল্টো পাঁচ দফা দাবি জানান তারা।
তাদের আগের তিন দাবি
১. ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি বা অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
২. টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদ পূরণের জন্য ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
৩. বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়া যারা নিজেদের প্রকৌশলী হিসেবে পরিচয় দেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
পাঁচ দফা হলো
১. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত ও ন্যাক্কারজনক হামলার জন্য আন্দোলনকারীদের সামনে এসে ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে।
২. প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এর আগে গঠিত কমিটিকে আমরা আমাদের প্রতিনিধিত্বের অনুপযুক্ত মনে করি এবং প্রত্যাখ্যান করি। অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিসহ প্রকৌশল আন্দোলনের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে কমিটি সংস্কার করে পেশকৃত তিন দফা দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নিয়ে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং এ মর্মে সংশ্লিষ্ট তিন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে আজই এসে এর নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৩. হামলায় আহত সব শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারকে বহন করতে হবে এবং এই আন্দোলন চলাকালে সব শিক্ষার্থীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ দিয়ে এই যৌক্তিক আন্দোলনে আর কোনো হামলা করা যাবে না।
৪. রোকন ভাইয়ের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
৫. শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে হামলার জন্য ডিসি মাসুদকে বহিষ্কার করতে হবে।