ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদের ফলে হাজারো প্রান্তিক শ্রমিকের জীবিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের পরিবার আজ চরম অনিশ্চয়তায়। শত শত শ্রমিক পরিবার, বিশেষ করে শিশুদের অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে। এই হৃদয়বিদারক পরিস্থিতিতে খেলাঘর সিলেট জেলা শাখা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংগঠনটি বলেছে, “রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকের জীবন ও জীবিকা রক্ষা করা। শ্রমজীবী মানুষের রুটি-রুজির পথ বন্ধ করা মানবিক বা ন্যায়সঙ্গত নয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যাটারিচালিত রিকশার কারিগরি ত্রুটি নিরসনে বুয়েট প্রণীত নকশা ও সরকারি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান সম্ভব। বলপ্রয়োগ নয়, প্রয়োজন যুক্তি ও সহানুভূতিশীল সমাধান।
খেলাঘর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ বিবৃতিতে বলা হয়, এই সংকটের পটভূমিতে ‘সিলেটি বনাম আবাদি’ আঞ্চলিক সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “সাংস্কৃতিক ঐক্য ভেঙে মানুষকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা জাতির জন্য বিপজ্জনক। সকল শিশুর মুখে হাসি ফোটানোই খেলাঘরের লক্ষ্য।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়ানো নেতৃবৃন্দের, বিশেষ করে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন সহ সকল শ্রমিক নেতাদের মধ্যরাতের গ্রেফতার, গণতান্ত্রিক অধিকার ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। এটি একটি ভয়াবহ নজির, যা স্বাধীন মত প্রকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সংগঠনটি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি, রিকশা শ্রমিকদের জীবিকা পুনর্বহাল, এবং সাংস্কৃতিক বিভাজন রোধে প্রশাসনের ভূমিকা কামনা করেছে।