কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে বালু ও পাথর উত্তোলনের অভিযোগে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে এবং এ কাজে ব্যবহৃত ১০৩টি নৌকা জব্দ করা হয়। রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ও সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ধলাই ব্রীজের পাশে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ তালুকদার।
আটককৃতরা হলেন, কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কলাবাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল সোবহানের ছেলে মো. ফয়জুল ইসলাম (৫৫) এবং তার দুই ছেলে মো. শাহ আলম (২৫) ও মো. সাগর মিয়া (১৯)। অন্যান্য আটককৃতরা হলেন, একই উপজেলার পুরান বালুচর গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মো. ফাইজুল ইসলাম (৪৫) ও তার ছেলে মো. মোশা মিয়া (১৯), নতুন জীবনপুর নিগারপাড় গ্রামের মো. ওয়াসিম মিয়ার ছেলে মো. হারুন অর রশিদ (২৫), দক্ষিণ রজনগর গ্রামের মো. জহির মিয়ার ছেলে মো. আরিফ মিয়া (২২), রাজনগর নতুন বস্তি গ্রামের মো. বাছির মিয়ার ছেলে মো. রুহুল আমিন (৩০), একই গ্রামের মো. রফিক মিয়ার ছেলে মো. আমিন মিয়া (২৫), দক্ষিণ রাজনগর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের জিলানীর ছেলে মো. ফারুক আহমদ (২০) এবং সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার শান্তিপুর গ্রামের মো. লেচু মিয়ার ছেলে মো. সোলাইমান মিয়া (২৫) ও মো. শাকিল মিয়া (২০)। শাকিল বর্তমানে কোম্পানিগঞ্জের ভোলাগঞ্জ গুচ্ছগ্রামে বসবাস করেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ধলাই সেতু ও সাদা পাথর পর্যটন এলাকাকে সুরক্ষিত রাখতে এবং পরিবেশ রক্ষায় নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে ইজারা এলাকার বাইরে, বিশেষ করে সেতুর নিচসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দিনভর অভিযানের পর রাতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকে।
কোম্পানিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।