
রাইজিংসিলেট- অর্থের লোভে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে ভারত? কাশ্মীরের পেহেলগামে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন পর্যটক। ভারত এই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং এরপর সীমান্ত পেরিয়ে চালায় পাল্টা সামরিক অভিযান। দুই দেশের মধ্যে কয়েকদিন ধরে চলা সংঘর্ষের পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এক যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় ভারত ও পাকিস্তান।
এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও শেষপর্যন্ত যথাসময়ে টুর্নামেন্টটি আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আসন্ন এই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারতের আয়োজনে, যেখানে ভারত ও পাকিস্তান একই গ্রুপে রয়েছে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল।
এমন সময় পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিসিসিআইকে তীব্র সমালোচনা করেছেন মহারাষ্ট্রের সাংসদ ও শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা আদিত্য ঠাকরে। তার অভিযোগ, আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যেই জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে রাজি হয়েছে বিসিসিআই।
তিনি বলেন, “ভারত সরকার যখন আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ তুলে ধরছে, তখন বিসিসিআইয়ের অর্থলালসা দেশের নিরাপত্তা, সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ এবং এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকেও অগ্রাহ্য করছে। ‘রক্ত আর জল একসাথে প্রবাহিত হতে পারে না’—এটা তো প্রধানমন্ত্রীরই কথা।”
বিসিসিআই জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নিয়ম অনুসরণ করতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলছে তারা। তবে আদিত্য ঠাকরের দাবি, বিসিসিআইয়ের এত প্রভাব থাকা সত্ত্বেও এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি সমঝোতা অনুযায়ী আগামী তিন বছরে তাদের মধ্যকার সব ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। সেই চুক্তি অনুযায়ী, এবার ভারতের আয়োজনে হলেও এশিয়া কাপের সব ম্যাচই সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে।