
জনতা ব্যাংক বনগ্রাম শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার হেমায়েত করিমের বিরুদ্ধে গ্রাহকের সাড়ে ৯ কোটি টাকা তছরুপের ঘটনায় ব্যাংকটি শাখা ব্যবস্থাপক ফরিদুর রহমানের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে আতাইকুলা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হেমায়েত করিমকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
হেমায়েত করিম গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রায় শতাধিক গ্রাহক ব্যাংক প্রবেশ করে তাদের একাউন্ট যাচাই সাপেক্ষে জানতে পারে তাদের অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থ নেই। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়ে ব্যাংকের আশপাশের এলাকা।
জানা যায়,পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার জনতা ব্যাংক বনগ্রাম শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার হেমায়েত করিম দীর্ঘদিন যাবত কৌশলে গ্রাহকদের সাড়ে ৯ কোটি টাকা ব্যাংক হিসাবে জমা না করে আত্মসাৎ করে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) উক্ত ব্যাংকের একজন নারী গ্রাহক টাকা তুলতে আসলে তার অ্যাকাউন্টে জমাকৃত টাকা পাওয়া না যাওয়ায় জনতা ব্যাংক পাবনা শাখায় অবহিত করেন। ভুক্তভোগী নারী গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে জনতা ব্যাংক পাবনা শাখার কর্মকর্তাদের তদন্ত প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় হেমায়েত করিমকে আতাইকুলা থানায় হস্তান্তর করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আলমগীর হোসেন বলেন, জনতা ব্যাংক বনগ্রাম শাখার ব্যবস্থাপক ফরিদুর রহমানের দায়ের করা সাড়ে নয় কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় জনতা ব্যাংক বনগ্রাম শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার হেমায়েত করিম কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জনতা ব্যাংকের পাবনা শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মঞ্জুরুল হক বলেন, হেমায়েত করিমের বিরুদ্ধে আমরা তদন্তে এসেছি। তিনি থাকতেই তার বদলী হয়েছিল, এ ঘটনার পর দ্রুত তাকে নওগাঁ শাখায় বদলী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংক বনগ্রাম শাখার ব্যবস্থাপক ফরিদুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত হেমায়েত করিম কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিভাগীয় তদন্ত চলছে।