
রাইজিংসিলেট- নিউইয়র্কে এক বৈঠকে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) প্যারিসের মেয়র অ্যানে হিদালগোর সঙ্গে আলোচনায় তিনি জানান, বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন শুধু একটি ভোট নয়, বরং তা গণতন্ত্রের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
বৈঠকে উভয় নেতা বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, ক্রীড়া, সামাজিক উদ্যোগ এবং বিশ্বব্যাপী মানবিক সংকট নিয়ে মতবিনিময় করেন। রোহিঙ্গা সংকট, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে চলমান সংস্কার, এবং অলিম্পিককে সামাজিক উদ্যোগে রূপান্তরের সম্ভাবনাও আলোচনায় উঠে আসে।
ড. ইউনূস জানান, আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও সুদৃঢ় হবে এবং দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি বলেন, এই নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
প্যারিস ২০২৪ অলিম্পিকের সঙ্গে সামাজিক ব্যবসার সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে ড. ইউনূসের ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয় বৈঠকে। তিনি ভবিষ্যতের অলিম্পিক—বিশেষত লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক—কার্বন নিরপেক্ষ করার গুরুত্বও তুলে ধরেন।
মেয়র হিদালগো ড. ইউনূসের নেতৃত্ব ও অঙ্গীকারের প্রশংসা করে বলেন, তিনি তার মানবিক ও সামাজিক উদ্যোগকে গভীর শ্রদ্ধা করেন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশা লাঘবের জন্য আরও আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপরও তারা একমত হন। উভয়েই আশা প্রকাশ করেন, একদিন রোহিঙ্গারা নিরাপদে ও মর্যাদাসহ নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবেন।
ড. ইউনূস জানান, জাতিসংঘ শিগগিরই রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে, যার লক্ষ্য হবে এ সংকটে নতুন করে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আনা ও একটি স্থায়ী সমাধান অনুসন্ধান করা।
বৈঠকে প্যারিসের মেয়রকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান ড. ইউনূস, যাতে দুই দেশের মধ্যে মানবিক ও সামাজিক ব্যবসায়িক সহযোগিতা আরও জোরদার করা যায়।
আলোচনায় অংশ নেন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG) সংক্রান্ত প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ।