রাইজিংসিলেট- বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র ডিগ্রি নয়, বরং বাস্তব দক্ষতাই কর্মজীবনে সফলতার আসল চাবিকাঠি হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনের যুগে টিকে থাকতে হলে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন দক্ষতা অর্জন করা এখন জরুরি।
অনেকেই মনে করেন, এসব দক্ষতা অর্জন করতে বড় অঙ্কের টাকা প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবে এখন অনলাইনে অসংখ্য ফ্রি কোর্স রয়েছে, যেগুলোতে অংশ নিয়ে যে কেউ নিজের ক্যারিয়ারে পরিবর্তন আনতে পারেন।
১. এআই ফ্লুয়েন্সি ও প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত প্রযুক্তি হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)। জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে এর প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। ম্যাককিন্সির গবেষণা অনুযায়ী, জেনারেটিভ এআই একাই বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বছরে প্রায় ২.৬ থেকে ৪.৪ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত অবদান রাখতে পারে।
ফলে ভবিষ্যতের চাকরির বাজারে এআই জ্ঞান থাকা শুধু বাড়তি সুবিধা নয়, বরং অপরিহার্য হয়ে উঠবে।
এআই ফ্লুয়েন্সি ও প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতা অর্জন করে আপনি কনটেন্ট তৈরি, ডেটা বিশ্লেষণ, মার্কেট রিসার্চ এবং ব্যবসার স্বয়ংক্রিয়করণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
এ বিষয়ে শেখার জন্য Microsoft Learn, Google AI for Everyone, এবং Forbes-এ প্রকাশিত ফ্রি কোর্সগুলো চমৎকার উৎস হতে পারে।
২. নেতৃত্বের দক্ষতা
শুধু প্রযুক্তিগত জ্ঞান নয়, সফল ক্যারিয়ারের জন্য প্রয়োজন নেতৃত্বের গুণও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর কর্মীদের প্রোফাইল বিশ্লেষণে দেখা গেছে—নেতৃত্বই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত দক্ষতা, এমনকি এটি অনেক ক্ষেত্রে এআই-সম্পর্কিত দক্ষতাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
ভালো নেতৃত্ব কর্মক্ষেত্রে আপনাকে শুধু পদোন্নতি এনে দেবে না, বরং সহকর্মীদের আস্থাও অর্জন করতে সাহায্য করবে। আর উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব হলো ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখার প্রধান চালিকাশক্তি।
৩. কনটেন্ট ক্রিয়েশন
বর্তমানে ব্যবসা, ব্র্যান্ডিং বা ব্যক্তিগত পরিচিতি তৈরিতে কনটেন্টই রাজা। মানসম্মত ও প্রভাবশালী কনটেন্ট ছাড়া অনলাইন জগতে টিকে থাকা কঠিন।
এআই টুল দিয়ে এখন সহজেই কনটেন্ট তৈরি করা সম্ভব, কিন্তু মানুষের মনে জায়গা পেতে হলে কনটেন্টে থাকতে হবে মৌলিকতা, অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি। তাই সৃজনশীল চিন্তা ও গল্প বলার দক্ষতা অর্জন করাই কনটেন্ট ক্রিয়েশনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।