
আবারও উদ্বেগ উৎকন্ঠায় সিলেটবাসী। এবার শাটডাউন কর্মসূচি ঘিরে। যদিও ১৩ নভেম্বর তেমন কিছু ঘটেনি। তবে রবি ও সোমবার কি ঘটে না ঘটে এখন আলোচনার কেন্দ্রে সেটাই। তবে যাই ঘটুকনা কেন, যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা নাশকতা ঠেকাতে সিলেট মহানগর পুলিশ সার্বিকভাবে প্রস্তুত।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত মনবতাবিরোধী মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেটভিউকে তেমনটাই জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এই কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে দেশের অন্যান্য স্থানে কিছুটা বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া গেলেও সিলেটে সেরকম কিছু ঘটেনি। যদিও আতঙ্ক ছিল, ছিল উদ্বেগ উৎকন্ঠাও। ধরপাকাড়ও হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সিলেটে তেমন কোনো অঘটন ঘটেনি।
১৭ নভেম্বর রায় ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানার পরপরই আওয়ামী লীগের নেতারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৬ ও ১৭ নভেম্বর সারাদেশে বিক্ষোভসহ শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আবারও শুরু হয় উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। সচেতন মহলের অনেকেই মনে করছেন, নাশকতা বা অঘটন ঘটুক আর না ঘটুক সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আর সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষ রীতিমতো হতাশাগ্রস্ত। তাদের মতে, এমনিতে ব্যবসা বাণিজ্য নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় যেকোনো ধরণের রাজনৈতি অস্থিতিশীলতায় তাদের পেটে লাত্থি পড়তে পারে। উদ্বেগ উৎকন্ঠা মূলতঃ সে কারণেই।
বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত অনেকের সাথেই আলাপ হয় এ প্রতিবেদকের। তাদের মতে, শাটডাউন ফাটডাউন ওসব কিছুনা। বিশেষ করে সিলেটে এ কর্মসূচি পালনের মতো লোকইতো নেই আওয়ামী লীগের। তবু তারা যদি কোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা করে তা জনগনই মোকাবেলা করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতো আছেই।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, শাটডাউন কর্মসূচি ঘিরে আমাদের দল থেকে বিশেষ কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। আমাদের কোনো কর্মসূচিও নেই। তবে নিষিদ্ধঘোষিত কোনো রাজনৈতিক দল যদি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে তাহলে জনগনই তাদের প্রতিরোধ ও প্রতিহত করবে। বিএনপি সবসময় জনগনের সাথেই আছে।
একই বক্তব্য রেখেছেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
তিনি বলেন, বিএনপি জনগনের অধিকার আদায়ের জন্য সবসময় রাজপথে ছিল. এখনো আছে, আগামীতেও থাকবে।
তিনি বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত কোনো রাজনৈতিক দল কর্মসূচির নামে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে সেটা দেখবে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা তাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করবে। সেজন্য আমাদের আলাদা কোনো কর্মসূচি নেই। তবে আমরা জনগনের সাথে আছি।