
সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট থানার ওসি (তদন্ত) মো. কবির হোসেনের বিরুদ্ধে থানার ভেতরে কর্মকর্তাদের পোস্টিং বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রের দাবি, সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় অবৈধ পণ্য পাচার এবং জাফলংয়ের পাথর সংশ্লিষ্ট নানা কর্মকাণ্ডকে কেন্দ্র করে তিনি এ ধরনের বাণিজ্য চালাচ্ছেন।
ওসি (তদন্ত) কবির হোসেন সম্প্রতি ওসি সরকার মো. তোফায়েল আহমদের ছুটিকে কাজে লাগিয়ে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পান। এ সময় তিনি কৌশলে সীমান্তের চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিটে কর্মরত কর্মকর্তা ও সদস্যদের অদলবদল করেন। অভিযোগ রয়েছে, এসব বিটে দায়িত্ব পেতে এসআইদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা এবং কনস্টেবলদের কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়ভাবে আরও বলা হচ্ছে, কবির হোসেন থানার সদস্যদের আশ্বাস দিয়েছেন যে খুব শিগগিরই তিনি গোয়াইনঘাট থানার পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি হবেন। এজন্য তিনি লবিং করছেন এবং দায়িত্ব পেলে ‘বর্ডার ওপেন’ করে চোরাচালানকে আরও সহজ করবেন বলেও কথিত প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
সম্প্রতি তিনি বিছানাকান্দি ও পূর্ব জাফলং বিটে দায়িত্বপ্রাপ্ত কনস্টেবলদের একাধিকবার পরিবর্তন করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, যিনি বেশি টাকা দিয়েছেন তাকেই বিছানাকান্দিতে দায়িত্ব দিয়েছেন।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, সম্প্রতি পাথর লুটকাণ্ডে আলোচিত কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানার মোট ১১ জন পুলিশ সদস্যকে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ থানার চারজন এবং গোয়াইনঘাট থানার সাতজন কর্মকর্তা রয়েছেন।
সূত্র- দৈনিক সবুজ সিলেট / গোয়াইনঘাট থানার ওসি তদন্তের বিরুদ্ধে ‘পোস্টিং বাণিজ্যে’র অভিযোগ