ঢাকাসোমবার , ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আ. লীগ নেতা জয়দীপ দাস সূচক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার হিসেবে এখনো বহাল!

rising sylhet
rising sylhet
জানুয়ারি ২৭, ২০২৫ ৮:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আওয়ামী লীগ নেতা জয়দীপ দাস সূচক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার হিসেবে এখনো বহাল!

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাতের ভোটে নির্বাচিত ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগ যুগের অবসান হলেও আওয়ামী দোসররা খোলস পাল্টিয়ে এখনো নিয়ন্ত্রণ করছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বিপিএলের সিলেট পর্বের ম্যাচে সাংবাদিকদের পাসকার্ড ইস্যু নিয়ে তারা চালায় লঙ্কাকান্ড। বিব্রতকর পরিস্থিতিতে মূলধারার সাংবাদিকরা শেষমেশ বিপিএলের ম্যাচ বয়কট করতে বাধ্য হন। অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন সিলেটে বিসিবির মিডিয়ার মত গুরুত্বপূর্ণ কো- অর্ডিনেটরের দায়িত্ব ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে সংবাদমাধ্যকে অপমান ও অপদস্থ করে গৌরবময় সিলেটের সাংবাদিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।

উদ্ভট নিয়ম-কানুন সৃষ্টকারীরা বৈষম্যের শিকার সংবাদকর্মীদের পাসকার্ড দেয়ার জিকির তোলে নিজেদের আত্মীয়স্বজন, পরিচিতজনদের কৌশলে পাস দেন। আন্ডারগ্রাউন্ড, অনিবন্ধিত, বাজারে আসেনা এমনকি কখনো নাম শোনা যায়নি এমন পত্রিকা ও ভেদভেদা টিভির কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং ফেসবুক পেইজের নামে পাসকার্ড ইস্যু হয় এবারের বিপিএলে।

পরিচয় গোপন রেখে নাদেল গ্রুপের ৩০জন কর্মীকে ভলান্টিয়ারের পাসকার্ড দেয়ার অভিযোগ করেন বিএনপির কর্মীরা। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের মিউজিক ফেস্টে মিডিয়া পাস হিসেবে অল্প কিছু সর্বনিম্ন দামের টিকিট দিয়ে সাংবাদিকদের গ্যালারীতে দর্শকদের সাথে বসতে দেয়া হয়। সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে অপমান করায় তারা পাস ছিঁড়ে মিউজিক ফেস্ট বয়কট করেন। তবে মোটা চামড়ার লজ্জাহীন দু চারজন সাংবাদিক আওয়ামী লীগের শিল্পী তোশিবার গান শুনতে সেদিন যান। সিলেটের মিডিয়ার সাথে রূঢ় আচরণ, অব্যবস্থাপনা, বিব্রতকর নিয়ম-কানুনে ক্ষুব্ধ সিলেটের সাংবাদিকরা। ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা) এর সদস্যদের বিপিএল ম্যাচের পাসকার্ড ইস্যুর পরও কেউ আনতে আগ্রহ দেখান নি। টেলিভিশন সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বকারী বৃহৎ সংগঠন ইমজাসহ কয়েকটি ক্লাব ও সাংবাদিকরা বিসিবির আগামী কোনো প্রোগ্রাম কাভার করবেন না বলে আভাষ মিলছে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিসিবি’র পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগ নেতা জয়দীপ দাস সূচক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার হিসেবে এখনো বহাল রয়েছেন। জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের ছাত্র-জনতার বিপক্ষে তার ভূমিকা ছিল সরব। বিগত ৫ আগস্ট গণবিল্পবের পর তার বিরুদ্ধে মামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। বহাল তবিয়তে আছে তার সহকারী মনজ কান্তি ও মনোজির।

সিলেট বিএনপির শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে ভুল তথ্য দিয়ে মিডিয়ার কো- অর্ডিনেটরের দায়িত্ব আকঁড়ে ধরে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মিলাদ গাজীর আপন মামাতো ভাই দেওয়ান তায়েফ, দেওয়ান রাদি ও সাদরা। তায়েফ, রাদি সাবেক এমপি দেওয়ান ফরিদ গাজির আপন ভাগ্নেও। এছাড়াও তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে কারাগারে থাকা সাবেক আইজি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও পিবিআই কর্মকর্তা তৌফিক এলাহির আত্মীয় হওয়ায় বিগত দিনে অনেক অপকর্ম করে বেঁচে যায়। মহানগর বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক ও ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আরাফাত জাকির ভাই হওয়ার সুবাদে তারা এখন বিএনপির নির্যাতিত কর্মী বলে প্রচার করছে। অভিযোগকারীরা আরো জানান, জয়দীপ দাস সূচক বিস্তর দুর্নীতির সাথে জড়িত। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে বিসিবির দায়িত্বে থাকা নাদেলের মেয়াদকালে স্টেডিয়ামের ৩৯টি বাথরুমের নতুন কমোড কেনার নামে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে।

প্রতি কমোড ৩৮ হাজার ধরে বিল বানানো হলেও পুরাতন কমোড মেরামত করে নতুন বলে চালিয়ে দেয়া হয়। এভাবে স্টেডিয়াম সংস্কার ও উন্নয়নের নামে আওয়ামী লীগের শাসনামলে কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়। ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসররা কিভাবে স্টেডিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে এখনো রয়েছে, জানতে চান নির্যাতিতরা। স্টেডিয়াম দোসরমুক্ত না হলে তাদের বিতারিত করতে ছাত্র-জনতা আবারো সক্রিয় হবে বলে অনেকে হুংকার দেন। পাসকার্ড বিষয়ে ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা) সিলেটের সভাপতি ও এনটিভি প্রতিনিধি সজল ছত্রী জানান, প্রতি টেলিভিশনের একজন রিপোর্টার ও একজন ক্যামেরাপারসনের ডকুমেন্টস নেওয়া হয়। পরে জানানো হয় ক্যামেরাপারসনরা পাস পাবেন না। বিসিবি যদি কাউকে পাস না দেয়, সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু স্থানীয়ভাবে চার কপি চার কপি ছবি, কাগজপত্র ইত্যাদি জমা নিয়ে পরে এ ধরনের আচরণ অপমানজনক। সাংগঠনিকভাবে সবার কাগজ একসাথে জমা দিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় ছিলেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আমাকে সদস্যদের কাজে জবাবদিহি করতে হয়েছে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও বিপিএলের সিলেট পর্বের দায়িত্ব যাদের দেওয়া হয়েছে তাদের এ ধরনের উপেক্ষা, অজ্ঞতা ও অব্যবস্থাপনায় আমরা ক্ষুব্ধ। তাদের পরবর্তী ইভেন্টে অংশগ্রহণের আগে সিলেটের – টেলিভিশন সাংবাদিকরা – অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে – সিরিয়াসলি ভেবে দেখবে।

সূত্র- বাংলার বারুদ

৭০ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।