
রাইজিংসিলেট-এমপি মুরাদের নামফলক হটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নামফলক, প্রকৌশলীকে মারধর, সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন মডেল মসজিদ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এমপির নামফলক সরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নামফলক স্থাপন করে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনকালে ডা. মুরাদ হাসান এমপির লোকজনের বিরুদ্ধে প্রকল্প প্রকৌশলীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জনিসহ অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যরা হলেন- মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের উপ-ঠিকাদার (সুপারভাইজার) মো. রকিব (৩০), ঠিকাদারের কর্মচারী ওসমান গণি বিপুল (২৮) ও সৌরভ (২৫)।
প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জনি অভিযোগ করেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনের জন্য সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালে হঠাৎ এমপি মুরাদ হাসানের প্রতিনিধি পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল ও তার লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। তাকেসহ প্রকল্পের লোকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে রাস্তা পর্যন্ত নিয়ে যায়।
পরে হামলাকারীরা তাদের তিনটি মোবাইল এবং মসজিদের সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায়।
প্রকল্পের ঠিকাদার পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল মোর্শেদ তরফদার সোহেল অভিযোগ করেন, মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় মুরাদ হাসান এমপির নামফলক ছিলো। উদ্বোধনের আগে সেটি সরিয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক প্রধানমন্ত্রীর নামফলক স্থাপন করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. মুরাদ হাসানের প্রতিনিধি পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল বলেন, তার সঙ্গে আমাদের কোন কিছু হয় নাই। আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, কথা কাটাকাটি হইছে শুনছি। মারামারি কথা জানি না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।