আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েলের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) জামাল হোসেনসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে হবিগঞ্জ শহরের কালিবাড়ি এলাকা থেকে জামাল হোসেনকে আটক করে পুলিশে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র—জনতা।
অভিযোগ করা হয়, গত বছরের ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা থানার সামনে গেলে জামালসহ আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেন। এ সময় মামলার বাদী হাফিজুরকে কুপিয়ে জখমসহ আরও অনেককে আহত করা হয়।
হবিগঞ্জ সদর থানার (ওসি) আলমগীর কবির জানান, হবিগঞ্জ শহরে গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে দেড়শ’ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় জামালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লোকড়া গ্রামের হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
ওসি আরো বলেন— একই উপজেলা থেকে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মী মো. আব্দুস ছালাম মিয়াকে আটক করা হয়। সে ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। ছালাম ফেসবুকে সরকার বিরোধী বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করে প্রচারের মাধ্যমে গুজব ছড়ায়। এই অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। আটককৃতদের রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম—সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান আল রিয়াদকে আটক করে সেনাবাহিনী। শনিবার রাত সাড়ে ১২ টায় সেনাবাহিনী তার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। শায়েস্তাগঞ্জ থানার (ওসি) দিলীপ কান্ত নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন— রিয়াদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র—জনতার উপর হামলা মামলার আসামি।