ইরান দীর্ঘ ১৫ বছরের প্রচেষ্টার পর নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম কার্গো বিমান ‘সিমোর্গ’ উন্মোচন করে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে । পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এই সাফল্যের মাধ্যমে দেশটি বিমান শিল্পে আরেকটি মাইলফলক স্থাপন করেছে।
ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (CAA) জানিয়েছে, সিমোর্গ বিমানটি বাণিজ্যিকভাবে ইরানের বিমান বহরে যুক্ত হওয়ার আগে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মোট ১০০ ঘণ্টা পরীক্ষামূলক ফ্লাইট সম্পন্ন করতে হবে।
প্রেস টিভি জানায়, ইরান তাদের নিজস্বভাবে তৈরি কার্গো বিমান সিমোর্গ-এর আনুষ্ঠানিক পরীক্ষামূলক ফ্লাইট শুরু করেছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় শহর শাহিন শাহরের একটি এয়ারফিল্ডে প্রতিরক্ষা ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধানদের উপস্থিতিতে এই ফ্লাইট অনুষ্ঠিত হয়।
ইরানের তৈরি এই বিমানকে একটি চটপটে, হালকা ও উচ্চ কার্গো বহনক্ষমতা সম্পন্ন মডেল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি ইরানের বৈচিত্র্যময় আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই এবং মেডিকেল ফ্লাইটসহ বিভিন্ন জরুরি সেবায় ব্যবহারের উপযোগী।
সংস্থাটির প্রধান হোসেইন পুরফারজানেহ বলেন, “সিমোর্গ প্রকল্পের দেশীয়করণ সম্পন্ন হতে ১৫ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। এর মাধ্যমে ইরান বিমান নকশা ও উৎপাদনে সক্ষম বিশ্বের ২০টিরও কম দেশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।”
ইরান সরকারের মতে, সিমোর্গ প্রকল্প দেশটির প্রযুক্তিগত আত্মনির্ভরতার প্রতীক এবং এটি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা অতিক্রম করে দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের সক্ষমতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
ইরানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিমোর্গ বিমানটি ভবিষ্যতে ইরানের স্থল ও নৌবাহিনীর ঘাঁটিগুলোর মধ্যে সৈন্য ও সরঞ্জাম পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি, এটি ভবিষ্যতে ইরানের স্বল্প দূরত্বের যাত্রীবাহী বিমান বহরেও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।