কিশোরীকে ফাঁদে ফেলে রাজধানীর মহাখালীর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেই কিশোরীর মরদেহ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) উদ্ধার করা হয় হাতিরঝিল থেকে। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে নানা তথ্য তুল ধরেন উত্তরা বিভাগের ডিসি রওনক জাহান।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে ডিসি আরও জানান, আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার হাতিরঝিল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বাকি তিনজনকেও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান, হত্যার দায় স্বীকার করে আজ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে রবিন ও রাব্বি। তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রওনক জাহান বলেন, হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় গুঁজে ৫ জন মিলে ধর্ষণ করলে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ওই কিশোরীকে বস্তায় ভরে মধ্যরাতে রিকশায় করে হাতিরঝিলে নিয়ে ফেলে দেয়া হয়। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, কিশোরীর মুঠোফোনের সূত্র ধরে গত ৩০ জানুয়ারি রবিন ও রাব্বি মৃধা নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা ওই কিশোরীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।