
বালুচরে কিশোর গ্যাঙয়ের দু’পক্ষের বিরোধকে কেন্দ্র করে হামালায় ফাহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত হিসাবে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী থানায় হত্যার অভিযোগে মামলাটি (নং ২০/১৪/১১/২৫) দায়ের করেন তার পিতা মো. হারুন রশীদ।
এদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতেই নগরীর টিলাগড়স্ত ইকোপার্ক এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ৪নং আসামী সবুজ আহমদ রেহানকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
রেহান জৈন্তাপুর থানার যশপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেম ও মাসুমা বেগমের ছেলে।
জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর বালুচর ২নং মসজিদ এলাকায় কিংস ফুটসাল ইনডোর সংলগ্ন বস্তার গলি রাস্তার উপর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাদী বালুচর ছড়ারপাড়ের আল-আমিনের বাসার ভাড়াটিয়া মো. হারুন রশিদের ছেলে মো. ফাহিমের (২৩) উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় কিশোর গ্যাঙয়ের অন্তত ৭/৮ জন সদস্য। তারা তাকে জখম করে মারাত্মক আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরে ফাহিমকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকায় নেওয়া হয়।
অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাকে মঙ্গলবার রাতে সিলেট নিয়ে আসা হচ্ছিল। কিন্তু পথে আবারও তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে বুধবার সকালে ওসমানী মেডিকেল নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ছাতকের গ্রামের বাড়িতে ফাহিমকে দাফন করা হয়।
সবুজকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন এসএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফূল ইসলাম।