কোনো অপশক্তি ছাত্র-জনতার ঐক্য নষ্ট করার চেষ্টা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলেছেন,বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের সেক্রেটারি এ টি এম মা’ছুম ।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ময়মনসিংহ মহানগরীর উদ্যোগে ইউনিট সভাপতি সম্মেলনে নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ টি এম মা’ছুম বলেন, জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার ঐক্য অটুট রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই ঐক্যকে ভাঙতে দেওয়া যাবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ইসলামি পুনর্জাগরণ ঘটাতে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গিয়ে জামায়াতের পক্ষে জনমত বাড়াতে নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী স্বৈরাচারের কবলে পড়ে দেশের বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। মানুষের মৌলিক অধিকার ভুলণ্ডিত হয়েছিল। শ্রমিক কৃষক মজুর সর্বত্রই মানুষের মধ্যে আমরা একটা হাহাকার দেখতে পেয়েছি। হত্যা সন্ত্রাস গুম হামলা-মামলা অন্যায় জুলুম পাপাচার লুটপাট মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি। দেশের অর্থ ব্যবস্থা কে ধ্বংস করে দিয়ে ব্যাংক লুটে খালি করে দিয়ে কোটি কোটি ডলার পাচার করে লুট করে বিদেশে জমা রাখা বেগমপাড়া তৈরি করা এ ধরনের জঘন্যতম অমানবিক অগণতান্ত্রিক এবং অন্যায় আচরণে বাংলাদেশে আমরা দেখতে পেয়েছি।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। একটা অন্ধকার যুগ পেরিয়ে আলোর সম্ভাবনা আমরা দেখতে পাচ্ছি। অত্যাচার জুলুম নির্যাতন খুন-খারাবি লুটপাটের জঘন্যতম একটি স্বৈরাচারী অধ্যায় পেরিয়ে আমরা এ দেশকে আবারো গণতান্ত্রিক উপায়ে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হাতে অর্পণ করে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে গড়ার স্বপ্ন দেখছি। বিগত অধ্যায়টি আমাদের জন্য বাংলাদেশের মানুষের জন্য বিশ্ব ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে পরিগণিত থাকবে। এদেশে আমরা বিগত ১৮ বছর কিভাবে ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, একটি হচ্ছে দেশ ধ্বংসের সংকট। আরেকটি হচ্ছে ইসলামকে নির্মূল করার সংকট। এই দেশকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে জঘন্যতম একটি কালো ইতিহাস হিসেবে থাকবে। মানুষের ভোটাধিকার তারা কেড়ে নিয়েছে। সভা সমাবেশ করার অধিকার তারা কেড়ে নিয়েছে। শ্রমিক মজুরের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষের জীবনের শান্তি স্বস্তি নিরাপত্তা সম্পূর্ণভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।
মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা কামরুল আহসান এমরুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. ছামিউল হক ফারুকী, জেলা আমীর আব্দুল করিম ও মহানগর নায়েবে আমীর আসাদুজ্জামান সোহেল। সম্মেলনে কর্মপরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক থানার দায়িত্বশীল কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।