
রাইজিং সিলেট- খাবার ধীরে ও ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ? শধু খাবার খাওয়া মানেই শরীর পুষ্টি পাচ্ছে না—সুস্থ হজমের শুরুটা হয় মুখ থেকেই। প্রতিটি কণাকে ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে তা শুধু হজমে সাহায্য করে না, বরং গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, ওজন বৃদ্ধি এবং আরও অনেক শারীরিক সমস্যা প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, গড়ে প্রতিটি কামড় অন্তত ৩২ বার চিবানো উচিত। এতে খাবার লালারসের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যায়, হজমপ্রক্রিয়া সহজ হয় এবং শরীর খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণে বেশি কার্যকর হয়। নরম খাবার যেমন তরমুজ ১০–১৫ বার চিবানো গেলেও, শক্ত খাবার যেমন বাদাম বা স্টেক প্রায় ৪০ বার পর্যন্ত চিবাতে হতে পারে।
চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
হজমশক্তি বাড়ায়: মুখে খাবার ছোট টুকরোয় ভেঙে গেলে পাকস্থলীতে চাপ কমে।
অতিরিক্ত খাওয়া কমে: ধীরে খেলে পেট ভরার অনুভূতি আগে আসে, ফলে কম খাওয়া হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে: ধীরে খেলে বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
পুষ্টি ভালোভাবে শোষিত হয়: খাবার সম্পূর্ণ চিবানো হলে দেহ সহজে প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিতে পারে।
ঠিকমতো না চিবালে যেসব সমস্যা হতে পারে:
পেট ফুলে যাওয়া বা গ্যাস
ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা
হিয়ার্টবার্ন ও অ্যাসিড রিফ্লাক্স
পেটের ক্র্যাম্প বা ব্যথা
বমি বমি ভাব
মাথাব্যথা ও দুর্বলতা
ত্বকের খসখসে ভাব বা র্যাশ
চড়চড়ে মেজাজ
দীর্ঘমেয়াদে অপুষ্টি।
সঠিকভাবে চিবিয়ে খাওয়ার কৌশল
চামচে বেশি খাবার না নিয়ে অল্প করে মুখে নিন।
মুখ বন্ধ রেখে চিবান এবং খাবার একপাশ থেকে অন্যপাশে সরিয়ে নিন।
খাবারের গঠন (টেক্সচার) পুরোপুরি ভেঙে গেলে গিলুন।
খাওয়ার সময় মনোযোগ দিন, তাড়াহুড়ো নয়।
অতিরিক্ত কিছু টিপস
খাওয়ার পর কফি বা ভারী মিষ্টি খাবেন না।
হালকা হাঁটাহাঁটি করুন, ভারী ব্যায়াম নয়।
ফারমেন্টেড খাবার যেমন আচার বা সাওয়ারক্রাট খেতে পারেন।
কাঁচা বা হালকা সেদ্ধ সবজি বেশি খান।
প্রয়োজনে প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।