দিরাই উপজেলায় গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১১ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. পিন্টু দাস বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কয়েকজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর গুরুতর আহত আটজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের কুলঞ্জ গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন—বশর মিয়া তালুকদার (৬০), ফুল মিয়া তালুকদার (৪৫), আলফু মিয়া তালুকদার (৩৫), কয়েস মিয়া তালুকদার (৫৫), ইকবাল মিয়া তালুকদার (৩২), কাহার মিয়া তালুকদার (৪০), জহির মিয়া তালুকদার (৪৫) ও কিশোর মাহিম (১৪)।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) উত্তম কুমার বলেন, দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে কুলঞ্জ গ্রামে সাবেক ও বর্তমান ইউপি সদস্যদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুজন গুলিবিদ্ধসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কুলঞ্জ গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ইলিয়াস মিয়া ও বর্তমান ইউপি সদস্য মাহবুব মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে শুক্রবার দুপুরে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।