
সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধা এক নারীকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
নিহত সিতারা বেগম (৭০) একই এলাকার মৃত মোফাজ্জল হকের স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তানের জননী ছিলেন।
শুক্রবার (২০ জুন) বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম। এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের কালিকাপুর গ্রামের ওসমান আলী হাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম আরও বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কোন এক সময়ে সিঁধ কেটে ওই নারীর ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ক্রাইমসিন ও সিআইডির কাজ শেষ হলে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত সিতারা তার এক ছেলের সঙ্গে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভা এলাকায় বসবাস করতেন। ঈদুল আযহা উপলক্ষে তিনি বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিজ ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাড়ির লোকজন তার কোনো সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় তার ঘরে যান এবং ভেতরে সিতারার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ঘটনা শুনে লোকজন গিয়ে দেখে টিনশেড ঘরের সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে সিতারা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চিনে ফেলায় ওই নারীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।