
শহীদ নজমুল হক উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের স্কুলের সিঁড়িতে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ওই স্কুল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন অভিভাবকেরা। এর আগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন তারা।
জানা যায়, রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ শহীদ নজমুল হক বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহাবুব আলম। তার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের অভিযোগ, সুযোগ পেলেই তিনি শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেন। সবশেষ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) স্কুল ছুটির পর সিঁড়িতে একা পেয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে শ্লীলতাহানি করেন।
বিক্ষোভের সময় অভিভাবকেরা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক শাহাবুব আলম নানা অজুহাতে ছাত্রীদের গায়ে হাত দেন। কখনো কখনো শ্লীলতাহানিও করেন। সবশেষ গত মঙ্গলবার তিনি চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে এমনটি করেছেন। ভয়ে মেয়েটি এখন স্কুলে আসছে না। গত এক বছর আগেও তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানিসহ একাধিক অভিযোগ ওঠেছিল।
গত কয়েক দিনে বিষয়টি অভিভাবকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন তারা। তাদের দাবি দ্রুত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। তবে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজ তারা বিক্ষোভ করেন। এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুলে আসতে নিষেধ করেন। ফলে শাহাবুব আলম এ দিন আর স্কুলে যাননি।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুলে আসতে নিষেধ করার কথা স্বীকার করে জানান, রোববার অভিভাবকেরা আমার কাছে এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন যে- শাহাবুব আলম শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেন, মারধর করেন।
আজাদ আরও জানান, তার স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক)। তিনি তাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তদন্ত করে তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। অভিভাবকদের তিনি এ কথা বলে বুঝিয়ে পাঠিয়েছেন। তারা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছেন।