রাইজিংসিলেট- ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) পরবর্তী আসরের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন মেগা নিলামের আগে প্রতিটা দলের বর্তমান স্কোয়াডের বয়স হয়েছে তিন বছর। ফলে তিন বছর ধরে তৈরি করা দল মেগা নিলামের জন্য ভেঙে ফেলতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। পাশাপাশি নতুন করে পরিকল্পনা করে এগোতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মেগা নিলামের আগে আইপিএল নিয়ে একাধিক নতুন পরিকল্পনা করতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। আইপিএলের মেগা নিলাম মানে একটা মহাযজ্ঞ। প্রায় দুইদিন ধরে চলে এই মেগা নিলাম। প্রতিটা দল মাত্র চারজন প্লেয়ারকে ধরে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেয়।
আর বাকি দল তৈরির জন্য ঝাঁপায়। ফলে ম্যানেজমেন্টগুলোর কাছেও একটা একটা চ্যালেঞ্জের। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এবার নিজেদের তৈরি করা নিয়মে অনেক পরিবর্তন আনতে চলেছে বিসিসিআই। যারমধ্যে রয়েছে প্লেয়ার ধরে রাখা বা ছেড়ে দেয়ার নিয়ম।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিসিসিআই এই বিষয়ে আলোচনা করতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে এবং আসন্ন মেগা নিলামে দলগুলো ধরে রাখা প্লেয়ারের সংখ্যা বাড়াতে পারে।
প্রতিবেদনে এক বিসিসিআই কর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘সবকিছু এখন শুরুর স্তরে রয়েছে। বোর্ড লিগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পরামর্শ চাইছে। প্লেয়ারদের ধরে রাখা যেখানে সবথেকে আলোচ্য বিষয়। বেশিরভাগ দল আটজন প্লেয়ার ধরে রাখার পক্ষে।’
মনে রাখতে হবে, এতদিন মাত্র চারজন প্লেয়ারকে ধরে রাখা যেত মেগা নিলামের আগে। আর একজন প্লেয়ারকে আরটিএম কার্ড দিয়ে ধরে রাখতে পারত। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি মনে করছে, কোর দল বদলে ফেলাটা ক্ষতি। অনেকে আবার চাইছে যে দল গঠনের বাজেট ১০০ কোটি টাকা করা হোক। এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে দিল্লি ক্যাপিটালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে দেখে। কারণ গত মেগা নিলামের পর এই দুই দল সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছিল। কারণ ২০২০ সালের ফাইনাল খেলার পর সেই দল ভেঙে দিতে হয়েছিল দিল্লিকে মেগা নিলামের জন্য।
আপাতত ১৬ এপ্রিলকে বৈঠকে দিন হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছে। এদিন আহমেদাবাদে বৈঠক হওয়ার কথা। এছাড়াও আরও কিছু বড় সিদ্ধান্ত যেমন একজন প্লেয়ারের সর্বোচ্চ বেতন এগুলো নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ২০২৫ সালের আইপিএলে যে বড় পরিবর্তন হবে তা বলাই যায়।